এসএ গেমসের পরবর্তী আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে। আসন্ন গেমসে স্বর্ণ পুনরুদ্ধারের মিশন বাংলাদেশ ফুটবল দলের। আসন্ন টুর্নামেন্ট সামনে রেখে আজই দল নিয়ে নেপালে চলে যাবার পরিকল্পনা ন্যাশনাল টিমস কমিটির। সেটি সম্ভব না হলে ঢাকাতেই হবে ক্যাম্প। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতির জন্য দুটি বিদেশি দলকে ঢাকায় এসে ম্যাচ খেলতে আমন্ত্রণ জানাবে বাফুফে।
এসএ গেমসে বাংলাদেশ প্রথম স্বর্ণ জিতেছিল ১৯৯৯ সালে। এরপর ২০১০ সালেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাল-সবুজরা। সেটিই ছিল এসএ গেমসে ফুটবলারদের সর্বশেষ বড় সাফল্য। এরপর ২০১৬ সালে ব্রোঞ্জ জিতেছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ দলের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। সিনিয়র কোটায় জামাল-ইয়াসিন-জীবনদের নিয়ে শক্তিধর দল নিয়ে এবারের আসরেও নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স উপহার দেয়ার লক্ষ্য জেমি ডের। হাতে খুব বেশি সময় নেই। তাই বাফুফে চাইছে দ্রম্নতই এসএ গেমসের ক্যাম্প শুরু করে দিতে। এ প্রসঙ্গে বাফুফের ন্যাশনাল টিমস কমিটির কো-চেয়ারম্যান তাবিথ আউয়াল বলেন, 'আমাদের হাতে দুটি পরিকল্পনা আছে। তার একটি হলো আগামীকাল (আজ) দল নিয়ে নেপাল চলে যাব। ওখানে ক্যাম্প করে এসএ গেমসে খেলব। এত আগে যাওয়া সম্ভব না হলে ঢাকাতেই হবে ক্যাম্প। এর সঙ্গে আমরা দুটি বিদেশি দলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, বাংলাদেশে এসে প্রীতিম্যাচ খেলার জন্য।'
এসএ গেমসের ফুটবল ক্যাম্পে মোট ২০ ফুটবলারকে রাখা হবে। যেখানে খেলবে অনূর্ধ্ব ২৩ দল। সঙ্গে খেলার সুযোগ পাবেন তিনজন সিনিয়র ফুটবলার। সর্বশেষ ওমান দলে থাকা ২৩ ফুটবলারের ৯ জনের বয়স ২৩ বছরের বেশি। সিনিয়রদের মধ্যে জেমির পছন্দের তালিকায় জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুইয়া, ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান এবং ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবন। এই তিনজন নিশ্চিত হলে বয়সের কারণে দলে থাকতে পারবেন না গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা, শহিদুল আলম সোহেল, ডিফেন্ডার রায়হান হাসান, মিডফিল্ডার সোহেল রানা, মামুনুল ইসলাম ও ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ। সামনে বিয়ে তাই বয়স থাকলেও দলে থাকতে পারছেন না মতিন মিয়া। সে হিসেবে এসএ গেমসের সাম্ভাব্য একাদশে থাকছেন, গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকু, পাপ্পু হোসেন, মাহফুজ হাসান প্রীতম, বিশ্বনাথ ঘোষ, রহমত মিয়া, ইয়াসিন খান, টুটুল হোসেন বাদশা, ইয়াছিন আরাফাত, রিয়াদুল হাসান রাফি, মনজুরুর রহমান মানিক, সুশান্ত ত্রিপুরা, জামাল ভুঁইয়া, বিপলু আহমেদ, রবিউল হাসান, আরিফুর রহমান, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, জুয়েল রানা,ফজলে রাব্বি, রাকিব হাসান, মাহবুবুর রহমান সুফিল, সাদ উদ্দিন ও নাবিব নেয়াজ জীবন।
এসএ গেমসের আগে প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ লাওস ও মঙ্গোলিয়া। শুধু তাই নয়, পরিকল্পনা আছে এসএ গেমসের বাইরের ফুটবলারদের নিয়েও। ২০২০ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ফিরতে লেগের ম্যাচ নিয়ে এখনই পরিকল্পনা সাজাতে চায় ফেডারেশন। লক্ষ্যটা অন্তত এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলা।
এ প্রসঙ্গে তাবিথ আউয়াল বলেন, 'আমাদের এখন মূল লক্ষ্য হলো এশিয়া কাপ খেলা। সেজন্য আমরা কোচের কাছ থেকে পরিকল্পনা চাচ্ছি। এছাড়া সিনিয়র ফুটবলার যারা এসএ গেমসে থাকছেন না। ক্যাম্পের বাইরে থাকা অবস্থায় তাদের ফিটনেস নিয়ে কোচের পরিকল্পনা কি সেটিও জানতে চেয়েছি।'