বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এসএ গেমসের পর্দা উঠছে আজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০
এবারের আসরে ২৭টি ডিসিপিস্ননে ৭টি দেশের ৩ হাজারের বেশি অ্যাথলেট অংশ নিচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশ থেকে ২৩টি ডিসিপিস্ননে প্রায় ৬ শতাধিক অ্যাথলেট অংশ নেবেন। আসরে ৩২৪টি স্বর্ণসহ মোট নিষ্পত্তি হবে ১১৩৫টি পদকের। ১০ ডিসেম্বর পর্দা নামবে গেমসের।

অপেক্ষার প্রহর শেষ। নেপালের কাঠমান্ডুতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠতে যাচ্ছে এসএ গেমসের ১৩তম আসরের। এবারের আসরে ২৭টি ডিসিপিস্ননে ৭টি দেশের ৩ হাজারের বেশি অ্যাথলেট অংশ নিচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশ থেকে ২৩টি ডিসিপিস্ননে প্রায় ৬ শতাধিক অ্যাথলেট অংশ নেবেন। আসরে ৩২৪টি স্বর্ণসহ মোট নিষ্পত্তি হবে ১১৩৫টি পদকের। ১০ ডিসেম্বর পর্দা নামবে গেমসের।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় টুর্নামেন্ট সাউথ এশিয়ান গেমস বা এসএ গেমস। ১৯৮৪ সালে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছিল। যে আসরটি হয়েছিল নেপালে। এরপর ১৯৮৫ সালে ঢাকায় হয় দ্বিতীয় আসর। দু'বছর অন্তর অন্তর হওয়ার কথা থাকলেও গত ৩৫ বছরে নিয়মিত আয়োজন হয়নি এসএ গেমস। ১৯৮৭ সালে ভারতের কলকাতায়, ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে হয় যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ আসর। ১৯৯১ সালে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে হয় গেমস। ৯৫ সালে আবারো ভারত আয়োজন করে এসএ গেমসের। সেই আসরটি হয় মাদ্রাজে। মাঝে প্রায় ৪ বছরের বিরতি শেষে আবারো ১৯৯৯ সালে কাঠমান্ডুতে আয়োজিত হয় এসএ গেমসের অষ্টম আসরটি। এরপর আবারো ৫ বছরের বিরতি পড়ে গেমসে। ২০০৪ সালে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে হয় পরবর্তী আসর। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় দশম আসরটি হবার ৪ বছর পর ২০১০ সালে হয় ১১তম আসর। যে আসরটির আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। আবারো ঢাকায় হয় এসএ গেমস। তবে ১২তম আসরটি হয় আরও ছয় বছর পর। ২০১৬ সালে ভারতের শীলংয়ে। এর তিন বছর পর হতে যাচ্ছে এসএ গেমসের ১৩তম আসরটি। প্রথম আসরের মতোই এবারো নেপালে হতে যাচ্ছে গেমস। তবে এবার হচ্ছে কাঠমান্ডু এবং পোখারায়।

এরই মধ্যে বাংলাদেশ ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, সাঁতার দল কাঠমান্ডু পৌঁছে অনুশীলনে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছেন। বেশ কয়েকটি ইভেন্টের মধ্যে এবার বাংলাদেশের স্বর্ণ জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল ফুটবলেও। আগামীকাল (২ ডিসেম্বর) ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ অলিম্পিক ফুটবল দল। নেপাল থেকে পদক নিয়েই ফেরার প্রত্যাশা ফুটবল দলের। বাংলাদেশের অন্যতম স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবন বলেছেন, 'আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। দলের সবাই ভালো অবস্থায় আছে। সেরা হওয়ার লক্ষ্য পূরণ করতে হলে আমাদের মাঠে সেরাটা খেলতে হবে। সেটা দিতে পারলে আশা করি কাঙ্ক্ষিত পদক নিয়ে দেশে ফিরতে পারব আমরা।'

জীবন জানান সেখানে বাংলাদেশের মূল সমস্যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা। যে কারণে তাদের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরও সেখানের আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। গত দু'দিনের অনুশীলনে অনেকটা মানিয়েও নিয়েছেন।

দলের আরেক ফরোয়ার্ড সাদ উদ্দিনও আশাবাদী চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরতে, 'চারদিনে তিনটা ম্যাচ খেলা একটু কঠিন। কারণ আমরা রিকভারির জন্য খুবই কম সময় পাব। তবে এটা তো অন্য দলের জন্যও একই। আশা করি সমস্যা হবে না। ভারতের না খেলাটা আমাদের জন্য বড় সুযোগ। সবাই যদি ভালো পারফর্ম করে, আশা করি আমরা চ্যাম্পিয়ন হবো।'

তবে ভারত না খেলায় ফুটবলের ফরমেটই পরিবর্তন হয়ে গেছে। এখন দলগুলো খেলবে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। মূল লড়াইয়ে নামার আগে বাংলাদেশের পুরোদলটি একসঙ্গে অনুশীলনের জন্য খুব একটা সময় পায়নি। তবে সেটাকে বড় কোনো সমস্যা মানছেন না দলের ফুটবলাররা। এ প্রসঙ্গে সাদ বলেছেন, 'আমাদের বড় পস্নাস পয়েন্ট হলে এই দলের অনেকেই জাতীয় দলে ছিল। আমরা একসঙ্গে অনেকদিন ধরে থাকায় নিজেদের মধ্যে বুঝাপড়াটা ভালো। এই টুর্নামেন্টে এটা কাজে লাগাতে চেষ্টা করব। তাছাড়া সবাই ক্লাবের হয়ে অনুশীলন করে এসেছে। তাই কন্ডিশনিং ক্যাম্প এর জন্য কোনো সমস্যা হবে না ইনশালস্নাহ।'

জীবনের মতোই সাদও জানান বাংলাদেশ দলের বড় প্রতিপক্ষ নেপাল। তবে দল এখন চোখ রাখছে নিজেদের প্রথম ম্যাচে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভুটান। ওই ম্যাচে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ার লক্ষ্য জেমির শিষ্যদের। ভারত নেই বলে মোটেই ফুরফুরে মেজাজে ঘুরছে না বাংলাদেশ দল। বরং প্রতিপক্ষ যেই হোক তাকে সম্মান দিয়ে নিজেদের সেরা ফুটবল খেলতে মুখিয়ে আছে তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<77919 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1