শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাজার অভুক্ত শিশুকে নিয়মিত খাওয়ান সাদিও মানে

ক্রীড়া ডেস্ক
  ১৩ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

লিভারপুল স্ট্রাইকার সাদিও মানে যেন মহানুভবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। বছরে ১২ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করলেও চলেন একদম সাদাসিধে। অন্য অনেকেই যেখানে টাকা উড়িয়ে ফুর্তি করতে ব্যস্ত সেখানে তিনি ব্যস্ত মানুষের উপকারে। নিয়মিত ক্ষুধার্ত শিশুদের খাওয়ান তিনি। এমনকি নিজে ব্যবহার করেন স্ক্রিন ফেটে যাওয়া পুরানো ফোন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মানের এমন ছবি ভাইরাল হওয়ার পর জানালেন নিজের সহজ জীবনযাপনের রহস্য।

অনেক তারকাই প্রতি মাসে নতুন সিরিজের ফোন ব্যবহার করে টাকা উড়িয়ে থাকেন। অথচ মানে একেবারেই ব্যতিক্রম। বরং এমন কাজকে ভোগের কয়েদি হয়ে যাওয়া বলে উলেস্নখ করেন তিনি। এত বড় তারকা হয়েও সাধারণ জীবন যাপনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, 'দশটি ফেরারি গাড়ি, বিশটি ডায়মন্ড ঘড়ি আর বিলাসবহুল বাড়ি, নিত্যনতুন মডেলের বিলাস সামগ্রী এসব দিয়ে কী হবে। এগুলো শুধু বৈষয়িক অবজেক্ট ছাড়া আর কিছুই নয়।'

মানের দার্শনিক সত্তাও প্রকাশ পেয়েছে তার কথায়। তিনি বলেন, 'মানুষের রুচি খুবই নিম্নমানের না হলে কেউ বিশ ত্রিশ হাজার ডলারের ঘড়ি হাতে দিয়ে ঘুরবে না। আর এসবে আমার এবং সমাজের কি উপকার হবে। যেই মুহূর্তে আমার নিশ্বাস শেষ সেই মুহূর্ত থেকে এসবের মালিকানাও শেষ।'

নিজ দেশের উন্নয়ন কার্যে আয়ের বড় অংশ খরচ করে থাকেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি নিজের বিলাসবহুল বাড়ির পরিবর্তে অসংখ্য স্কুল তৈরি করেছি, দামি পোশাকে ওয়ার্ডরোব ভর্তি না করে অসংখ্য বস্ত্রহীন মানুষকে বস্ত্র দিয়েছি। নিজে দামি গাড়ি চালানোর পরিবর্তে অগণিত স্কুল ছাত্রছাত্রীকে স্কুল বাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে দামি রেস্টুরেন্টে না খেয়ে হাজার হাজার ক্ষুধার্ত শিশুর খাবারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।'

এসব করার কারণও বলেছেন মানে। সেখানে যেন উঠে এসেছে তার মহত্ত্বের অনন্য উদাহরণ। সাদিও মানে বলেন, 'একসময় আমি আর ফুটবল খেলতে পারব না। বার্ধক্য আসবে। নিশ্বাসের ইতি ঘটবে। কিন্তু বাড়ি, গাড়ি, ঘড়ি, ফোন আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে না। যেসব মানুষকে সাহায্য করেছি তাদের নিশ্বাসেই হয়তো আমি বেঁচে থাকব।'

লিভারপুল ফরোয়ার্ড যোগ করেন, 'আমি শিক্ষিত না। তাই হয়তো শিক্ষার গুরুত্ব বুঝেছি। দরিদ্র ছিলাম বলেই হয়তো জীবনের আসল অর্থ বুঝেছি। কিন্তু দুনিয়ায় আজ যারা বড় শিক্ষিত তারাই হয়তো শিক্ষার গুরুত্বটা ঠিকঠাক বুঝছেন না। যদি বুঝতেন তবে দুনিয়াতে এত অভুক্ত শিশু না খেয়ে রাতে ঘুমোতে যেত না। মানুষ দিন দিন এভাবে ভোগবিলাসের কয়েদি হয়ে উঠত না।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<84155 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1