শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় প্রাণ গেল রিয়ালের সাবেক সভাপতির

ক্রীড়া ডেস্ক
  ২৩ মার্চ ২০২০, ০০:০০
P¨vw¤úqÝ wj‡Mi Uªwd nv‡Z wiqvj gvw`ª‡`i mv‡eK mfvcwZ j‡i‡Äv mvÄ ÑdvBj d‡Uv

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিবিড় পরিচর্যায় ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক সভাপতি লরেঞ্জো সাঞ্জ। তাতেও শেষ রক্ষা হলো না। প্রাণঘাতী ভাইরাসটি জীবন কেড়ে নিয়েছে ৭৬ বছর বয়সী সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতির। ঘরে থাকতেই বেশ কিছু দিন জ্বরে ভুগছিলেন। অবস্থা খারাপ হওয়াতে মঙ্গলবার ভর্তি হন হাসপাতালে। আর সেখানেও বাঁচানো যায়নি তাকে। শনিবার তার মৃতু্যর খবর জানান তারই ছেলে সাঞ্জ,' কিছুক্ষণ আগে আমার বাবা মারা গেছেন। এভাবে তার বিদায় নেওয়ার কথা ছিল না। আমার দেখা অন্যতম সাহসী, কঠোর পরিশ্রমী মানুষটি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। পরিবার ও রিয়াল মাদ্রিদের প্রতি তার ছিল গভীর অনুরাগ। আমার মা ও ভাইবোনেরা গর্বের সঙ্গে তার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। তিনি চিরনিদ্রায় শান্তিত থাকুন।' ১৯৪৩ সালে মাদ্রিদে জন্ম নেওয়া সাঞ্জ রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতির দায়িত্ব নেন ১৯৯৫ সালে। এর আগে রেমোন মেন্ডোজার অধীনে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। যখন সভাপতি হন তখন অর্থনৈতিকভাবে দুর্দশায় থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখেন তিনি। রবার্তো কার্লোস, সিডর্ফ, ডেভর সুকার ও মিয়াতোভিচের মতো খেলোয়াড়দের কিনতে ভূমিকা রাখেন। যার ফল- ৩২ বছরের খরা কাটিয়ে ১৯৯৮ সালে রিয়ালের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়। তার সময়েই দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জেতে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। তার সময়ে একবার করে লিগ ও সুপার কাপও জিতেছিল রিয়াল। ৫ বছর সভাপতির দায়িত্ব পালনের পর ২০০০ সালে তাকে হারিয়ে সভাপতি হন ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। অবশ্য এর পরেও সাঞ্জ পুনরায় দায়িত্ব পেতে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন ২০০৪ সালে। কিন্তু পেরেজের আধিপত্যের সামনে টিকতে পারেননি। তবে দুজনের মাঝেই ব্যক্তিগত সম্পর্কটা ছিল উষ্ণ। আর তাইতো সাঞ্জের মৃতু্যতে করোনায় স্পেনের ভয়াবহ চিত্রটাই ফুটে উঠছে। লরেঞ্জো সাঞ্জই হলেন স্পেনে করোনার সবচেয়ে বড় মাপের শিকার। এখন পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে