শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এই সময়টা বড় চ্যালেঞ্জের : রানা

ঘরে বসে থেকে ফিটনেস ধরে রাখা কঠিন। তারপরও ফিটনেস ধরে রাখতে যতটা পারি চেষ্টা করছি। হালকা অনুশীলন, রানিং এগুলো করছি নিয়মিত -আশরাফুল ইসলাম রানা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৪ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০
নিজ বাসার ছাদে ছেলেকে নিয়ে অনুশীলন করছেন শেখ রাসেলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা -ওয়েবসাইট

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ এখন গৃহবন্দি। অফিস-আদালত, খেলাধুলা সব বন্ধ। বদ্ধ জীবনে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় অনেকের। কিন্তু উপায় নেই। ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ঘরে থাকাই এখন নিরাপদ। শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানারও এখন সময় কাটছে ঘরেই। এই সময়টা সব খেলোয়াড়ের জন্যই বড় চ্যালেঞ্জের বলে মনে করছেন তিনি। গোলপোস্টের নিচে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার অভ্যাসটা এই কঠিন সময়ে অনেক কাজে লাগছে তার।

লিগ বন্ধ, ক্লাবও ছুটি। তাই অন্য ফুটবলারদের মতো রানারও সময় কাটছে ঘরে। একঘেয়েমি কাটানোর নানা আয়োজন করে চলেছেন নিত্য। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের এই গোলরক্ষক জানালেন, ঘরের যে কাজগুলো আগে কখনো করা হয়নি, সেগুলোই এখন করছেন প্রবল উৎসাহে।

এ প্রসঙ্গে রানা বলেছেন, 'ঝুঁকি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাইনি। বসুন্ধরার বাসাতেই আছি। বাচ্চাদের আগে অতটা সময় দিতে পারতাম না। এখন ওদের সঙ্গে খেলাধুলা করে অনেক সময় কাটছে। এছাড়া কখনো ঘরের কাজে বউকে ওভাবে সাহায্য করা হয়নি; এখন করছি। বলতে পারেন ওর অর্ধেক কাজ আমিই করে দিচ্ছি।'

'গোলপোস্ট আগলানোর অভিজ্ঞতা বেশ কাজে দিচ্ছে (হাসি)। আসলে এমন অনেক ম্যাচ আছে, যে ম্যাচে এক-দুবারের বেশি বল ধরতে হয়নি। সারাক্ষণ পোস্টের নিচে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। ধৈর্য ধরে থাকার ওই অভিজ্ঞতা এখন ঘরে থাকার পরীক্ষায় কাজে লাগছে।' যোগ করেন রানা।

রানা মনে করেন এই পরীক্ষা শেষ হচ্ছে না খুব শিগগিরই। আরও অন্তত বেশ কিছুদিন চলবে নিজেদের ঘরে আটকে রাখার লড়াই। রানা মজা করে বললেন, 'টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারলে ভালো হতো। বিশেষ করে গুলু ভাইয়ের (জাভেদ ওমর বেলিম) মতো ব্যাটিং করতে পারলে ভালো হতো (হাসি)। তার এমন ম্যাচও দেখেছি, ৮০ বল খেলে ১০ রান তুলেছেন। তাহলে আরও ধৈর্য ধরে ঘরে বসে থাকা যেত।'

সব খেলার খেলোয়াড়দেরই এই সময়টায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ- ফিটনেসের অবনতি খুব বেশি হতে না দেওয়া। অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে কাজটি খুবই কঠিন। তবু রানা চেষ্টা করে যাচ্ছেন যতটুকু সম্ভব। তার কথায়, 'ঘরে বসে থেকে ফিটনেস ধরে রাখা কঠিন। তারপরও ফিটনেস ধরে রাখতে যতটা পারি চেষ্টা করছি। হালকা অনুশীলন, রানিং এগুলো করছি নিয়মিত।'

জাতীয় দলের সতীর্থ বিপলু আহমেদ, আরিফুর রহমান অসহায়দের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ৩১ বছর বয়সী রানা জানালেন, সিনিয়রদের সঙ্গে তিনিও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন কিছু একটা করার, 'কয়েকজন সিনিয়রের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে। আসলে পরিস্থিতি এখন এমন যে, সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা সংগ্রহ করাও কঠিন। তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যদি সম্মিলিতভাবে না হয়, তাহলে নিজে যতটুকু পারি করব বলে ভেবে রেখেছি।'

রানা মনে করেন এই দুঃসময়ে সামর্থ্যবানদের উচিত নিজ অবস্থান থেকে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো, 'আমাদের চারপাশে অসহায় মানুষের অভাব নেই। সম্মিলিতভাবে না পারলে আমার আশপাশে যারা গরিব মানুষ আছে, তাদের দুই-তিন দিন খাওয়ার ব্যবস্থা করব। আর গ্রামের বাড়িতে কাউন্সিলরের মাধ্যমে কিছু করব। এই দুঃসময়ে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে সামর্থ্যবান সবারই দাঁড়ানো উচিত।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<95164 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1