বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট টি২০ প্রতিযোগিতাটির নাম হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। অর্থের ঝনঝনানিও ভারতের ঘরোয়া লিগে প্রচুর। আর সেই প্রতিযোগিতা না হলে মোটা অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়াই স্বাভাবিক। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি যে অঙ্কটা বললেন, সেটা চোখ কপালে তোলার মতোই। এবারের আইপিএল না হলে ক্ষতি হবে ৪ হাজার কোটি রুপি!
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ডের একটি বিসিসিআই। সেই তারা কিনা বেতন কাটার চিন্তা-ভাবনাও করে রাখছে। আর সেটা শুধুমাত্র আইপিএল না হওয়ার কারণে। কুড়ি ওভারের প্রতিযোগিতাটি না হলে বিরাট কোহলিদের বেতনের ওপর কোপ পড়বে, এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি।
করোনাভাইরাসের থাবায় ক্রিকেটাঙ্গনের সব খেলা বন্ধ। বিশ্বের বড় তারকাদের নিয়ে হওয়া আইপিএলের ১৩তম আসরও শুরু করা যায়নি। সূচি অনুযায়ী ২৯ মার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল আইপিএলের এবারের প্রতিযোগিতা, কিন্তু করোনার কারণে ভারত সরকারের লকডাউনে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল টুর্নামেন্ট। এরপর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে আছে আইপিএল। প্রতিযোগিতাটির ভবিষ্যৎ কী, সেটা নিশ্চিত করে বলার কোনো উপায়ও নেই। আর শেষ পর্যন্ত আইপিএল যদি না হয়, তাহলে বিসিসিআই মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তেমনটাই জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি, 'আমরা আমাদের আর্থিক অবস্থা যাচাই করে দেখব, কত অর্থ আমাদের আছে, আর কতটা ক্ষতি হচ্ছে। তবে এটা বলতে পারি, আইপিএল আয়োজন করতে না পারলে ক্ষতি হবে ৪ হাজার কোটি রুপি, যেটি আসলে বিশাল।'
বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে যেহেতু পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই আইপিএল না হলে বেতন কাটার পথে হাঁটতে পারে বিসিসিআই। সাবেক অধিনায়কের ইঙ্গিত সেদিকেই, 'যদি আমরা আইপিএল আয়োজন করতে পারি, তাহলে আমরা বেতন কাটার দিকে যাব না। আমরা বিষয়টি মানিয়ে এবং সামলে নিতে পারব।'
করোনার কারণে এরইমধ্যে আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী তিন বোর্ডের একটি হয়েও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এমন বিপদে পড়া বিস্মিত করছে না গাঙ্গুলিকে, 'দেখুন, এখানে অনেক খরচ আছে। মানুষ কল্পনাও করতে পারবে না এই খেলা চালাতে কত অর্থ লাগে।'
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট যে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে তা ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলে কাটিয়ে উঠতে চাই। এ কারণে পূর্বনির্ধারিত চার টেস্টের সিরিজে ম্যাচের সংখ্যা বাড়াতে চাইছে তারা।