বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সাড়ে ২২ লাখ টন চাল রপ্তানি মিয়ানমারের

যাযাদি ডেস্ক
  ০৯ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

বিশ্বজুড়ে চলমান করোনা মহামারির মধ্যেও মিয়ানমারের চাল রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১৭ জুলাই পর্যন্ত দেশটি থেকে খাদ্যপণ্যটির রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ লাখ টনের বেশি বেড়ে ২২ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। মিয়ানমার রাইস ফেডারেশনের সাম্প্রতিক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর সিনহুয়া ও এগ্রিমানি।

মিয়ানমারে ১ অক্টোবর থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হয়। চলে পরবর্তী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দেশটির রাইস ফেডারেশনের বিবৃতি অনুযায়ী, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের শুরু থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত (প্রায় ১০ মাস) মিয়ানমার থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ২২ লাখ ৫০ হাজার টন চাল রপ্তানি হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে দেশটি থেকে মোট ১৮ লাখ টন চাল রপ্তানি হয়েছিল। সেই হিসাবে করোনা মহামারির মধ্যেও এক বছরের ব্যবধানে মিয়ানমার থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে অতিরিক্ত সাড়ে চার লাখ টন চাল রপ্তানি হয়েছে।

গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১৭ জুলাই পর্যন্ত সময়ে মিয়ানমার থেকে রপ্তানি হওয়া চালের মধ্যে ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫৬ টন ভাঙা চাল। বাকি ১৪ লাখ টনের কিছু বেশি সাধারণ সিদ্ধ চাল। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে দেশটি থেকে সাকল্যে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭৪ টন ভাঙা চাল রপ্তানি হয়েছিল। অর্থাৎ, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে মিয়ানমারের ভাঙা চালের চাহিদা আগের তুলনায় বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১৭ জুলাই পর্যন্ত চাল রপ্তানি করে দেশটি সব মিলিয়ে ৬৭ কোটি ৮২ লাখ ৯০ হাজার ডলার আয় করেছে।

স্থল সীমান্তের তুলনায় সমুদ্রপথে মিয়ানমার থেকে চাল রপ্তানি বেশি গতিশীল ছিল। ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১৭ জুলাই পর্যন্ত দেশটি থেকে রপ্তানি হওয়া চালের ৮৫ দশমিক ১২ শতাংশ সমুদ্রপথে রপ্তানি গন্তব্যে গেছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির রাইস ফেডারেশন। বাকি ১৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ চাল স্থল সীমান্তপথে চীনসহ প্রতিবেশী দেশগুলোয় রপ্তানি করেছে মিয়ানমারের রপ্তানিকারকরা।

এ সময় মিয়ানমার থেকে রপ্তানি হওয়া চালের সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল আফ্রিকার দেশগুলোয়। মোট রপ্তানির ৩০ দশমিক ২০ শতাংশ চাল দেশটি থেকে আফ্রিকায় গেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১৭ জুলাই পর্যন্ত মিয়ানমারের চালের রপ্তানি বাজারের ২৭ শতাংশ হিস্যা চীনের দখলে ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর দখলে ছিল ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ বাজার হিস্যা।

মিয়ানমার রাইস ফেডারেশনের উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্ট লুইন বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে মিয়ানমার থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ২৪ লাখ টন চাল রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যেও প্রায় ১০ মাসে সাড়ে ২২ লাখ টন চাল রপ্তানি করা হয়েছে। বাকি দুই মাসে আরও দেড় লাখ টন চাল রপ্তানি করতে হবে। আশা করা হচ্ছে, অর্থবছর শেষে চাল রপ্তানির লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে। এর পেছনে চীন ও আফ্রিকার দেশগুলোয় বাড়তি চাহিদা প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।

চাল উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক দেশগুলোর বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় মিয়ানমারের অবস্থান সপ্তম। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর মিয়ানমার থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ২২ লাখ টন চাল রপ্তানি করা হয়েছিল, যা আগের বছরের তুলনায় ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ কম। চলতি বছরও দেশটি থেকে একই পরিমাণ চাল রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে মিয়ানমারের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি চাল রপ্তানির রেকর্ড হয়েছিল। ওই বছর দেশটি থেকে আগের বছরের তুলনায় বেড়ে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টন চাল রপ্তানি হয়েছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<108149 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1