আগামী জাতীয় সংসদ নিবার্চন বানচাল করার শক্তি কারোর নেই বলে মন্তব্য করেছেন অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। অতীতে যেকোনো সময়ের তুলনায় বতর্মানে দেশে গণতন্ত্র শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। শনিবার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অথর্মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী নিবার্চন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এবং যথাসময়েই হবে। অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার ক্ষমতা কারোর নেই। কেউ চেষ্টা করলে তাদের দমন করা হবে। বতর্মান সরকার নিবার্চনী ব্যবস্থাকে এমন উন্নত পযাের্য় নিয়ে গেছে কেউ চাইলেও কারচুপি করতে পারবে না। গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের ঐক্য প্রক্রিয়া সম্পকের্ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা কমর্হীন মানুষ। তাদের কোনো কাজ নেই। তাদের বক্তব্য শোনার ধৈযর্ও তার নেই।
গতকাল মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পক্ষ থেকে ২০১৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীণর্ তিন হাজার ৩১ জন শিক্ষাথীের্ক বৃত্তি প্রদান করা হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভনর্র ফজলে কবির। সমাপনী বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাসেম মো. শিরিন। অনুষ্ঠনে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষাথীর্ ছাড়াও তাদের অভিভাবক এবং বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঊধ্বর্তন কমর্কতর্রা উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘দক্ষ মানবসম্পদ ছাড়া কোনো জাতি উন্নত হতে পারে না। বতর্মান সরকার মানব সম্পদকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছে। বিনামূল্য বই বিতরণ, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, বৃত্তি, বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ, কমর্মুখী শিক্ষাসহ নানা কমর্সূচি হাতে নিয়েছে। তবে সরকারের একার পক্ষে সব কাজ করা সম্ভব নয়। বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে আমরা ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দঁাড়াতে পারব।’
গভনর্র ফজলে কবির বলেন, ‘এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করেছি। আগামী ছয় বছর আমাদের কমর্কাÐ পযের্বক্ষণের আওতায় থাকবে। আমরা আশা করছি কোনো ধরনের বাড়তি সুবিধা ছাড়াই ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের পূণর্ মযার্দা লাভ করব। সেটা করতে হলে মানবসম্পদ উন্নয়ন খুবই গুরুত্বপূণর্ বিষয়। যা করতে হবে শিক্ষার মাধ্যমে। বতর্মানে বাজেটে ১০ শতাংশ ব্যয় হচ্ছে শিক্ষা খাতে। তবে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলে আগামী ২০২৪ সালে আমরা উন্নয়নশীল এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাব।’
ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ বলেন, ‘ডাচ-বাংলা ব্যাংক যখন দেখল অসংখ্য শিক্ষাথীর্ শিক্ষাক্ষেত্রে সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত, তখনই ব্যাংক এই শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছিল। মেধাবী হওয়া সত্তে¡ও অথৈর্নতিক, ভৌগোলিক এবং সামাজিক কারণে এসব শিক্ষাথীর্ তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে না। মেধায় তাদের কমতি নেই, কিন্তু আথির্ক সংকটের জন্য মেধাকে কাজে লাগানোর সুযোগ পাচ্ছে না তারা। তিনি আরও বলেন, এই অনুষ্ঠান ভবিষ্যতে তাদের আরও ভালো কিছু করার প্রেরণা ও উৎসাহ জোগাবে।’
প্রসঙ্গত, সামাজিক কল্যাণ কমর্সূচির অংশ হিসেবে ডাচ-বাংলা ব্যাংক উচ্চমাধ্যমিক ও ¯œাতক পযাের্য় অধ্যয়নরত মেধাবী ও অসচ্ছল ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান করে আসছে। এ পযর্ন্ত ৫৩ হাজার ৭১০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষাথীর্ ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তির সুযোগ পেয়েছে যার মধ্যে বতর্মানে বিভিন্ন শিক্ষাস্তরের ১৮ হাজার ৫৮০ জন শিক্ষাথীর্ বৃত্তির সুযোগ গ্রহণ করছে। শিক্ষাবৃত্তির ৯০ শতাংশ দেয়া হয় গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাথীের্দর।