বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্টিলের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ছে

ওবায়দুর রহমান
  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

সরকারের বড় অবকাঠামো নিমার্ণ এবং আবাসন খাতে প্রবৃদ্ধির কারণে দেশে স্টিলের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এ শিল্পের উদ্যোক্তারা এ খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন। স্টিলের ব্যবহারে এসেছে ভিন্নতা। প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি সুবিধার কারখানা। পরিসংখ্যান বলছে, গত আট বছরে স্টিলের ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ৫৪ শতাংশ।

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বতর্মানে দেশে মাথাপিছু স্টিলের ব্যবহার হচ্ছে ৩৭ কেজি। এ শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১০ সালেও এই পরিমাণ ছিল ২৪ কেজি। দেশের বাজারের সব থেকে বড় অংশীদার বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম)। তাছাড়া আরও বড় যেসব স্টিল কোম্পানি রয়েছে এর মধ্যে আনোয়ারা স্পাত, একেএই, জিপিএইচ, কেএসআরএম এবং বসুন্ধরা স্টিল গত কয়েক বছরে তাদের উৎপাদনক্ষমতা বাড়িয়েছে।

দেশের অন্যতম বড় শিল্পগ্রæপ পিএচপি গ্রæপ তাদের ফেনিতে নতুন প্ল্যান্ট তৈরির জন্য ১৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। আগামী পঁাচ থেকে সাত বছরের মধ্যে এই গ্রæপ মিরেরসরাইয়ে বিশেষায়িত অথৈর্নতিক অঞ্চলে ৫০০ একর জমিতে সমন্বিত স্টিল উৎপাদন কারখানা প্রতিষ্ঠায় ৩১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

স্বাধীনতার পর থেকে দেশে স্টিলশিল্পের অগ্রগতি শুরু হয়। ১৯৭২ সালে স্থানীয় মিল মালিকরা বাষির্ক ৪৭ হাজার টন স্টিল উৎপাদন করতেন। সেটা বেড়ে ২০১৭ সালে উৎপাদিত হয়েছে ৫৫ লাখ টন। আর এ বছর শেষে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন ৭০ লাখ টন স্টিল উৎপাদন হবে। স্টিলের বাষির্ক ৩০ হাজার কোটি টাকার অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশের কিছু প্রতিশ্রæতিশীল উদ্যাক্তা ও ভোক্তাশ্রেণির কারণে এ শিল্প প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রতিবেশী ভারতের তুলনায় সেটা খুব বেশি না। ভারতে বাষির্ক স্টিলের মাথা পিছু ব্যবহার ৬৫ কেজি। আর দক্ষিণ এশিয়ায় গড় ব্যবহার ২২৫ কেজি। এ শিল্প সংশ্লিষ্টরা এখনো আশাবাদী আগমী বছরগুলোতে আরও ভালো প্রবৃদ্ধি হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসআরএম স্টিলের নিবার্হী পরিচালক তপন সেনগুপ্তা বলেন, ‘দেশের বড় বড় অবকাঠামো নিমার্ণ এবং আবাসন খাতে ইতিবাচক পরিবতের্নর জন্যই স্টিলের চাহিদা বেড়েছে।’ আনোয়ার গ্রæপ অব ইন্ড্রাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘ইস্পাত শিল্পের বতর্মান উন্নতির পেছনে সরকারি চাহিদা বাড়ায় মূল কারণ। সব বড় প্রকল্প চলমান থাকায় মোট চাহিদার ৪০ শতাংশ আসছে সরকারি খাত থেকে।

এছাড়া বাংলাদেশের বাজারের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিবেচনায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠছে।’ জিপিএইচ স্পাতের পরিচালক আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে ধারবাহিকভাবে প্রায় বাষির্ক ১৫ শতাংশ হারে চাহিদা বাড়ছে। আমরা আশা করছি আগামী বছর এ খাতের ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।’ বিএসআরএম বতর্মানে বাজারের নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাষির্ক ১৫ লাখ টন উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে তারা প্রায় ২৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করছে। বতর্মানে দেশে ছোট, মাঝারি এবং বড় স্টিল কারখানা রয়েছে। যাদের মোট বাষির্ক উৎপাদনক্ষমতা ৮০ লাখ টন। এর মধ্যে শীষর্ ১০ কোম্পানি ৫০ শতাংশের বেশি উৎপাদন করে। স্থানীয় মিল মালিকরা সাধারণত দুই ধরনের স্পাত উৎপাদন করে। একটা হলো ফ্ল্যাট স্টিল এবং লং স্টিল। এ শিল্পের কঁাচামাল সরবরাহ করছে চট্টগ্রামভিত্তিক জাহাজ ভাঙা শিল্প। এ ছাড়া বাষির্ক ১৫ লাখ টন বিলেট আমদানি করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<12741 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1