শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঋণগ্রহীতাদের সমস্যাও দেখতে হবে:গভনর্র

যাযাদি রিপোটর্
  ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে ঋণগ্রহীতার সক্ষমতা মূল্যায়নে দেশে কাযর্রত ব্যাংকগুলোর জন্য প্রণীত ইন্টারনাল ক্রেডিট রিস্ক রেটিং সিস্টেম (আইসিআরআর) নীতিমালা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভনর্র ফজলে কবির বলেছেন, ঋণ বিতরণের পর শুধু আদায় করার মানসিকতা নিয়ে বসে থাকলে হবে না। ঋণগ্রহীতার সমস্যাগুলোও দেখতে হবে। এ জন্য গ্রহীতার প্রতি ব্যাংকের সহযোগিতামূলক মনোভাব থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে ঋণগ্রহীতার সক্ষমতা মূল্যায়নে দেশে কাযর্রত ব্যাংকগুলোর জন্য প্রণীত ইন্টারনাল ক্রেডিট রিস্ক রেটিং সিস্টেম (আইসিআরআর) নীতিমালা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভনর্র এ কথা বলেন।

গভনর্র বলেন, ঋণ বিতরণের পর ব্যাংকগুলো গ্রাহকের কাছে আশা করে শুধু পরিশোধের (রিপেমেন্ট)। ঋণগ্রহীতাদের অন্য কোনো বিষয় নিয়ে ব্যাংক কখনো ভাবে না। অনেক সময় বিদ্যুৎ, গ্যাসের অভাবে কারখানা চালু করতে পারে না। অনেক কারখানা চালু হওয়ার পরে নানা কারণে বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাংকগুলোর এসব বিষয় মাথায় র?াখা উচিত।

কারণ এভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া অথবা বিদ্যুৎ, গ্যাসের অভাবে কারখানা চালু করতে না পারায় গ্রাহককে নতুন করে সহযোগিতা না করলে ওইসব কারখানা আর কোনোদিন চালুই হবে না। এ ধরনের গ্রাহককে ব্যাংক সহযোগিতা করলে আবার নতুন করে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারবে। শুধু গ্রাহকই ব্যাংককে সহযোগিতা করবে না, ব্যাংকও গ্রাহককে সহযোগিতা করবে। এ বিষয়টি ব্যাংকগুলোর প্রধান কাযার্লয় থেকে শুরু করে শাখা পযর্ন্ত পৌঁছে দিতে হবে।

ফজলে কবির বলেন, ঋণগ্রহীতার সক্ষমতা মূল্যায়নে প্রণীত নীতি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ কমানোর পাশাপাশি সবোর্চ্চ মুনাফা অজের্ন সহায়তা করবে। তাই আমি মনে করি, আইসিআরআর নীতিমালা একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।

গভনর্র বলেন, নতুন অথর্মন্ত্রী বলেছেন, খেলাপি ঋণ আর বাড়বে না, এখন থেকে কমতে থাকবে। গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ দঁাড়িয়েছে ১১ দশমিক ৫ শতাংশে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং খাতে সাবির্ক সম্পদ ও মুনাফা অজের্ন ঝুঁকি তৈরি করে।

আমি আশা করছি, ঋণগ্রহীতাদের জন্য নতুন নীতিমালা খেলাপি ঋণ আদায়, মুনাফা অজের্ন গুরুত্বপূণর্ ভূমিকা পালন করবে। ব্যাংকগুলো ক্রেডিট লস কমিয়ে এনে বেটার পোটের্ফালিও তৈরি করবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আথির্ক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, দেশের অথৈর্নতিক প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির এ লক্ষ্যমাত্রা ৮ শতাংশ অজর্ন করতে হলে আমাদের নতুন নতুন বিনিয়োগ দরকার। আর বিনিয়োগ করার আগে ব্যাংকগুলো গ্রহীতার সক্ষমতা যাচায়ে এ নীতিমালা গুরুত্বপূণর্ ভূমিকা পালন করবে।

এবিবির চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, গ্রাহকের কাছ থেকে শতভাগ জামানত নেওয়া অনেক কঠিন হবে। তবে নতুন এ নীতিমালার গ্যারান্টিসহ অন্যান্য শতর্গুলো ভালো হয়েছে। আবার ৫০ লাখ টাকার বেশি এসএমই ঋণের জন্য নীতিমালা বাস্তবায়ন করা অনেক কঠিন হবে বলেও মত দেন ব্যাংক এমডিদের সংগঠনের এ নেতা।

নীতিমালার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বিআইবিএম’র প্রফেসর ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানাজির্ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম হুসনে আরা শিখা।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবার্হী পরিচালক ও বিআইবিএমর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আব্দুর রহিম।

নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির কো-অডিের্নটর ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিবার্হী পরিচালক আবু ফরাহ মো. নাসের বলেন, নীতিমালাটি ব্যাংক, ঋণগ্রহীতা ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে প্রণয়ন করা হয়েছে। সভাপতির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভনর্র আহমেদ জামাল।

আইসিআরআর চালু করার আগে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৯৩ সালে ব্যাংক খাতে ঋণ ঝুঁকি নিণের্য় লেন্ডিং রিস্ক অ্যানালাইসিস (এলআরএ) কাঠামোর সূচনা করে। এক কোটি টাকার বেশি অঙ্কের ঋণের ক্ষেত্রে এলআরএ কাঠামো প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু ওই কাঠামোটি খুব একটা কাজে না আসায় ২০০৩ সালে কোর রিস্ক ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন (সিআরএমজি) চালু করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<32590 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1