আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেড পূবের্ঘাষিত বন্ডের আকার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি নতুন করে ৭৫৫ কোটি টাকার নন-কনভাটের্বল জিরো-কুপন বন্ড ইস্যু করবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে কোম্পানিটি ৫০০ কোটি টাকার নন-কনভাটের্বল জিরো-কুপন বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। জানা যায়, কোম্পানিটি অভিহিত মূল্যে বন্ড ইস্যু করবে। বন্ডের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বন্ডটি ইস্যু করা হবে। সবের্শষ অনিরীক্ষিত আথির্ক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সদ্যসমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর) ৪ টাকা ৮৩ পয়সা শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দেখিয়েছে ব্যাংক-বহিভূর্ত আথির্ক খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি, যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৯০ পয়সা। এদিকে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত এ কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৮ পয়সা, যা এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৭৩ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৩৫ টাকা ২৪ পয়সা। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আথির্ক প্রতিবেদন পযাের্লাচনা করে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে আইডিএলসি। এক বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ১৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৩৩ টাকা ৪১ পয়সায়।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্যও ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় আইডিএলসি। ২০১৬ সালে কোম্পানিটির ইপিএস হয় ৭ টাকা ৮ পয়সা। ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় আইডিএলসি ফিন্যান্স।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার আইডিএলসি শেয়ারের সবের্শষ দর ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ বা ১ টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৫ টাকা ২০ পয়সায়। দিনভর দর ৭৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৭৬ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। সমাপনী দর ছিল ৭৫ টাকা ৫০ পয়সা, যা এর আগের কাযির্দবসে ছিল ৭৪ টাকা ২০ পয়সা। এদিন ৬৩৩ বারে এ কোম্পানির মোট ৪ লাখ ৫৮ হাজার ২৫৭টি শেয়ারের লেনদেন হয়। গত এক বছরে শেয়ারটির সবির্নম্ন দর ছিল ৫৭ টাকা ও সবোর্চ্চ ৮৪ টাকা।