আজকের যায়যায়দিন

বিদায়ী সপ্তাহে পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারে লেনদেন। উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের সপ্তাহ থেকে বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন ৩৪৩ কোটি টাকা বেড়েছে। তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন ৬৮ কোটি টাকা কমেছে আগের সপ্তাহ থেকে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত বুধবার অথর্ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমিয়ে সরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর ঘোষণা আসে নতুন মুদ্রানীতিতে। পঁুজিবাজার সংশ্লিষ্টদের মুদ্রানীতির কোন নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা না থাকলেও টানা দুই দিন বাজারে পতন লক্ষ করা যায়। বিশেষ করে ব্যাংক ও আথির্ক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দরের ব্যপক পতন ঘটে। যার প্রভাবে সপ্তাহ শেষে সব কটি সূচকের পতন হয়েছে।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ৫ কাযির্দবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫ হাজার ১৭১ কোটি ৩৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪২০ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৩৪৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯৫ হাজার ১৪৯ টাকা বা ৭.১২ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৮২৭ কোটি ৭৪ লাখ ৪১ হাজার ২৭১ টাকার। ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৪ কোটি ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ২৮৪ টাকা। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৯৬৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৪ টাকা। অথার্ৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৬৮ কোটি ৭১ লাখ ৭৯ হাজার ৩০ টাকা বেশি হয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৯ পয়েন্ট বা ২.১৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮২১ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১পয়েন্ট বা ০.৮৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪১ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩১০ ও ২০০৭ পয়েন্টে। ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে মোট ৩৪৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে ১০৫টির দর বেড়েছে, দর কমেছে ২৩৮টির ও শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবতির্ত রয়েছে ৫টির।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমছেই

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাবির্ক সূচক সিএএসপিআই ৩৭৫ পয়েন্ট বা ২.০৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৮৯০ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ২১৯ পয়েন্ট বা ১.৯৮ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৩৬ পয়েন্ট বা ২.৬৪ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৩৬৯ পয়েন্ট বা ২.৩৩ শতাংশ এবং সিএসআই ৮ পয়েন্ট বা ০.৭৩ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০ হাজার ৮১৭ পয়েন্ট, ১ হাজার ৩০২ পয়েন্ট, ১৫ হাজার ৪০৫ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৬২ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ১৯৫ কোটি ৮৯ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬৯ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২০৬ কোটি ৯৬ লাখ ৩৯ হাজার ৭১৪ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ১১ কোটি ৬ লাখ ৬২ হাজার ৯৭২ টাকা বা ৫.৩৪ শতাশ কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৮টির, দর কমেছে ১৯৩টির এবং দর অপরিবতির্ত রয়েছে ৯টির।