অধ্যায় ৯
প্রশ্ন : প্রযুক্তির ব্যবহারে মানবিক হওয়া উচিত কেন?
উত্তর : প্রযুক্তির সঠিক ও মানবিক ব্যবহার আমাদের জীবনে এনেছে স্বাচ্ছন্দ্য। কিন্তু যখনই এ ব্যবহারে মানবিকতা থাকে না তখন তা আমাদের জীবনকে করে দুর্বিষহ। যেমন-
১। যানবাহন আমাদের যাতায়াতকে সহজ করে। কিন্তু দ্রম্নত যানবাহন চালালে তাতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
২। সঠিক পরিমাণে সার, কীটনাশক ব্যবহার ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করে। কিন্তু যদি অতিরিক্ত হারে এগুলো ব্যবহার করা হয় তবে তা পুকুর ও জলাশয়ে পড়ে উদ্ভিদ ও মাছকে মেরে ফেলে।
৩। বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধের অস্ত্র, পারমাণবিক বোমা ইত্যাদিও প্রযুক্তির অবদান। এসব অবদানকে অনেক সময় যুদ্ধক্ষেত্রে অমানবিকভাবে ব্যবহার করা হয়। এতে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ধ্বংস হয়ে যায় অনেক শহর, জনপদ।
এভাবে প্রযুক্তিকে যখনই অমানবিকভাবে ব্যবহার করা হবে তখনই তা আমাদের জীবনে ভয়াবহতা ডেকে আনবে। আর তাই প্রযুক্তি ব্যবহারে মানবিক হতে হবে।
প্রশ্ন : বিজ্ঞানের অপব্যবহারের কয়েকটি উদাহরণ
দাও।
উত্তর : বিজ্ঞানের অপব্যবহার বলতে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত প্রযুক্তিগুলোর অপব্যবহারকে বোঝায়। বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত এসব কৌশলের অপব্যবহারের কয়েকটি উদাহরণ নিচে দেয়া হলো-
১। সঠিক নিয়মে গাড়ি না চালানো।
২। ত্রম্নটিপূর্ণ যানবাহন চালানো।
৩। জমিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার।
৪। রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর তৈরিতে বনভূমি নষ্ট করা।
৫। কলকারখানার বর্জ্য নদীতে ফেলা।
৬। বিরতিহীনভাবে টেলিভিশন দেখা, কম্পিউটারে খেলা।
৭। যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধাস্ত্রের অমানবিক ব্যবহার করা।
এভাবে বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলোকে যখনই অসচেতনভাবে ব্যবহার করা হবে তখনই তা অপব্যবহার হিসেবে গণ্য হবে।
প্রশ্ন : তথ্য কী? বর্তমান পৃথিবীতে তথ্য যোগাযোগ এত প্রয়োজনীয় কেন?
উত্তর : উপাত্ত যখন বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে তথ্য বলে। যে জাতি যত সহজে এবং যত তাড়াতাড়ি একে অন্যের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করতে পেরেছে সে জাতি তত দ্রম্নত সামনে এগিয়ে গেছে। এজন্য একটি জাতির সব পেশাজীবী মানুষের মধ্যে তথ্য যোগাযোগ জরুরি। শিক্ষাব্যবস্থায় উন্নতির জন্য শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে তথ্য যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কৃষকের চাষাবাদ করার জন্য, শ্রমিকের কলকারখানার কাজের জন্য, ডাক্তারের রোগব্যাধি ও চিকিৎসার জন্য, কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবহার করে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রভৃতি নানারকম কাজের জন্য তথ্য যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
প্রশ্ন : তোমার বাবা তোমাকে একটি কম্পিউটার কিনে দিলে তা দিয়ে তুমি কী করবে? ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : আমার বাবা আমাকে একটি কম্পিউটার কিনে দিলে তা দিয়ে আমি নিম্নবর্ণিত কাজগুলো করব-
আমার প্রয়োজনীয় পড়ার শিটগুলো টাইপ করব।
আমার অঙ্কগুলো করার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের সহযোগিতা নেব
ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার অজানা তথ্য সংগহ করব।
কম্পিউটারে গেম খেলব।
ই-মেইলে বন্ধুদের চিঠি পাঠাব।
প্রশ্ন : বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির- তোমার জীবনে এর কোনো প্রভাব পড়েছে কি? ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : আমার জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব ৫টি বাক্যে নিচে উপস্থাপন করা হলো-
\হপ্রযুক্তির কারণে আমি এখন ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের তথ্য সংগ্রহ করতে পারি।
বিভিন্ন প্রকার শিক্ষাপ্রযুক্তির কারণে বর্তমানে পড়াশোনা আমার কাছে অধিক সহজ মনে হচ্ছে।
প্রযুক্তির কল্যাণেই আমি ঘরে বসে বিভিন্ন দেশের খেলাধুলা ও কৃষ্টি সম্পর্কে জানতে পারছি।
মোবাইল নামক প্রযুক্তিটি আমার জীবনে বৈপস্নবিক পরিবর্তন এনেছে। কারণ এর সাহায্যে আমি যে কোনো সময়ে যে কোনো লোকের সঙ্গে কথা বলতে পারছি।
আমার প্রতিদিন সকালবেলায় পত্রিকা পড়া, বাসে করে স্কুলে যাওয়া, কলম দিয়ে লেখা, বাইকে যেখানে সেখানে যাওয়া- প্রতিটি কাজই সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির কল্যাণে।