শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংকগুলোয় আরও নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ আইএমএফের

যাযাদি রিপোর্ট
  ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় আরো নজরদারি বাড়াতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা শক্তিশালী করার পাশাপাশি স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে।

এদিকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামষ্টিক বিভিন্ন সূচকের উন্নয়নে প্রশংসা করেছে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ। বাংলাদেশের সহজ শর্তের ঋণ বাড়াবে বিশ্বব্যাংক। আর খুব দ্রম্নত সময়ে ঢাকা সফরে আসবেন ভারতের অর্থমন্ত্রী। ২০৩০ সালের পর দেশে কেউ বেকার থাকবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অন্যদিকে শুক্রবার সারা দিন বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফে ব্যস্ত সময় পার করেছেন অর্থমন্ত্রী। ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভার অংশ হিসেবে আইএমএফের দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্ট উয়িং শেফার, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, ভুটানের নির্বাহী পরিচালক অপর্ণা সুভ্রামনি, ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ও আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মিথসুহিরো ফুরুসাওয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ ব্রিফ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আ হ ম মস্তফা কামাল বলেন, চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশ ব্যতীত সারা বিশ্বের অর্থনীতি নিম্নমুখী অবস্থায় রয়েছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। এটাকে কোনো কল্পকাহিনীর মতো মনে হলেও এটাই বাস্তবতা। আর এসবের স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা করেছে। আমাদের অগ্রগতি দেখে তারা অভিভূত। অন্য দেশগুলোর কাছে আমাদের তারা ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে সুন্দর সময় আমরা এখন পার করছি। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে এখন সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাত কোনো ঝুঁকির মধ্যে নেই। তবে সামনের দিনে রেগুলেটরি আরো শক্তিশালী করা হবে। বিক্ষিপ্তভাবে দু-একটি প্রতিষ্ঠান ঝুঁকিতে থাকলেও সেটি দ্রম্নত সমাধান করা হচ্ছে। আমাদের মুদ্রানীতি ফ্লেক্সিবল (উদার)। এ নীতির কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

আইএমএফের আউটলুক প্রকাশের বিষয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আইএমএফ তাদের আউটলুকে বলেছে, এ বছর শেষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। এটা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্বসেরা। দুটি রাষ্ট্র ছাড়া বাংলাদেশের সামনে কেউ নেই। তবে আমি বলতে পারি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৩ শতাংশের কম হবে না। দেশের সার্বিক অগ্রগতির রূপকার প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে নির্ধারিত বৈঠকের পাশাপাশি অনির্ধারিত বেশকিছু বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আলোচনা করেছেন দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং কূটনীতিকদের নিয়ে আলোচনা সভা করেন স্থানীয় একটি হোটেলে। সেখানে বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প দেখানো হয় একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ বৃহৎ ২০টি অর্থনীতির দেশের মধ্যে থাকবে। ২০৩৩ সালে ২৪তম অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ। এ সময় অর্থনীতির আকার হবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার। দেশের এ ধরনের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।

আইএমএফের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ক্রিস্টিলিনা জর্জিভা। দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনের সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিশ্ব অর্থনীতি ও বাণিজ্য ব্যবস্থা কিছুটা অস্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে সময় পার করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<71915 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1