শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
হতাশা কাটেনি বিনিয়োগকারীদের

সপ্তাহের পাঁচ দিনের চারদিনই ঊর্ধ্বমুখী

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

পতনের বৃত্তে থাকা পুঁজিবাজার গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল। সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। এতে তিন হাজার কোটি টাকার ওপরে বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। কিন্তু নিনিয়োগকারীরা পাননি তাদের মূলধন। এখনো আশা দেখতে পাচ্ছেন না তারা। তাই টানা ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকলে হয়তো কিছুটা আশার আলো দেখা দিতে পারে।

সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২২১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১২টির। আর ২২টির দাম অপরিবর্তিত।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ১১০ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকা।

এদিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮৯ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৮৯ দশমিক ১০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

অন্য দুটি সূচকের মধ্যে গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ৩০ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৪৭ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহে ডিএসই শরিয়াহ্‌ সূচক বেড়েছে ১৪ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ২০ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯১ শতাংশ।

সব সূচকের উত্থান হলেও সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। গত কয়েক সপ্তাহের মতো ডিএসইতে গড় লেনদেন তিনশ কোটি টাকার ঘরেই আটকে আছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৩১ কোটি ২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩৩৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ১২ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৫৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ৬৭৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ১৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের মধ্যে 'এ' গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দাঁড়িয়েছে ৮০ দশমিক ৫২ শতাংশ। এছাড়া লেনদেনে 'বি' গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। আর 'এন'গ্রম্নপের অবদান দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর 'জেড' গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল টিউবসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৮০ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া লেনদেনের ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনার বাংলা ইন্সু্যরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের লেনদেনের ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ৪২ কোটি ৩২ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। লেনদেনে এরপর রয়েছে- ভিএফএস থ্রেড ডাইং, ফরচুন সুজ, সৃহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, নর্দান জুট মেনুফ্যাকচারিং এবং স্টাইফ ক্রাফট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<74768 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1