বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রাহক পযাের্য় দাম কমবে সোলার প্যানেলের

যাযাদি রিপোটর্
  ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

সোলার প্যানেল আমদানি ও দেশে সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভ্যাট মওকুফ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোডর্ (এনবিআর)। বিদ্যুৎ সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে বিকল্প এই বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজস্ব আদায়কারী এ সংস্থাটি। সংশ্লিষ্ট কমর্কতার্রা বলছেন, সোলার আমদানি কিংবা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফে এই ব্যবস্থার প্রচলন বহুগুণ বাড়বে। গত ৮ আগস্ট এনবিআরের ভ্যাট উইংয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সোলার ব্যবসায়ীরা এখন থেকে ভ্যাটমুক্ত।

সোলার সিস্টেমের উপর ভ্যাট আরোপের আড়াই মাসের মাথায় এই সিদ্ধান্ত নিল সংস্থাটি। চলতি অথর্বছরে ঘোষিত বাজেটে সরকার সব ধরনের সোলার প্যানেলের আমদানি ও উৎপাদনের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছিল। এবং এর ওপর অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট (এটিভি) ৫ শতাংশ বাড়িয়েছিল। যদিও ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমালেও আয়করের ৫ শতাংশ এটিভি ভ্যাট অব্যাহতই থাকছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এনবিআর চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোশাররফ হোসেন ভ‚ঁইয়া স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১-এর ধারা ১৪-এর উপধারা ১ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সবের্শষ পাসকৃত বাজেটের আদেশ সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধনীতে এনবিআরের অব্যাহতি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের টেবিল-২ (আমদানি ও উৎপাদন)-এর কলাম (১)-এ সোলার মডিউল ও প্যানেল যুক্ত করা হয়েছে।

এনবিআর কমর্কতার্রা বলছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হওয়ায় এবং সম্ভাবনাময় খাত বিবেচনায় সোলার ও মডিউলে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডসহ (ইডকল) বেসরকারি উদ্যোক্তাদের দাবি ও সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কারণে এ অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সোলার প্যানেল ব্যবহার করা গ্রামের দরিদ্র মানুষও এর সুফল পাবে বলে মনে করছেন এনবিআর কমর্কতার্রা।

তারা আরও বলছেন, দেশে বতর্মানে ১২ শতাংশ পরিবার সৌর বিদ্যুতের ওপর নিভর্রশীল। সরকারি উদ্যোগে সারাদেশে কৃষিকাজে ৯৯৯টি সোলারনিভর্র পাম্প, ১৫টি মিনি গ্রিড ও বিভিন্ন স্থানে ছাদে সোলার বসিয়ে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা নিশ্চিত করেছে।

ইডকলের হিসাব অনুযায়ী, দেশে ব্যবহৃত বিদ্যুতের মাত্র ১ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে উৎপাদিত। ২০২১ সালের মধ্যে জ্বালানি মিশ্রণে ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থাকবে বলে সরকার প্রাক্কলন করলেও নানা বাধার কারণে লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে পড়ছেন উদ্যোক্তারা। বতর্মানে ৫০ লাখের মতো পরিবার সোলার প্যানেল ব্যবহার করছে। তবে ব্যাটারি ও প্যানেলের দাম বেশি হওয়ায় গ্রামীণ পযাের্য় তা জনপ্রিয় করা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় কর অবকাশ সুবিধাসহ এ খাতে ভ্যাট অব্যাহতি জরুরি বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

সোলার প্যানেল ও মডিউলে ভ্যাট অব্যাহতির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের উদ্যোক্তারা। এ বিষয়ে সোলার মডিউল ম্যানুফ্যাকচারাসর্ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এসএমএমএবি) সভাপতি মুনাওয়ার মিসবাহ মঈন বলেন, সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৮ সাল নাগাদ আরো ৩০ লাখ পরিবারকে সৌরবিদ্যুৎ দেয়ার কথা। দেশে বতর্মানে বছরে সৌর প্যানেলের চাহিদা ৬০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে প্রায় ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর। তবে উদ্যোক্তাদের খরচ বেশি হওয়ায় মানুষকে কম মূল্যে তা সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৮ সাল নাগাদ আরো ৩০ লাখ পরিবারকে সৌরবিদ্যুৎ দেয়ার কথা। দেশে বতর্মানে বছরে সৌর প্যানেলের চাহিদা ৬০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে প্রায় ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর। তবে উদ্যোক্তাদের খরচ বেশি হওয়ায় মানুষকে কম মূল্যে তা সরবরাহ করা যাচ্ছে না।।

ইডকল ও স্র্রোডো’র তথ্য মতে, এখন পযর্ন্ত নবায়নযোগ্য উৎস থেকে মোট ৪৭১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে, যার মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় ইডকল কমর্সূচির আওতায় ১৯৫.২২ মেগাওয়াটের ৪৮ লাখ সোলার হোম সিস্টেম বসানো হয়েছে। ১০.৮৩ মেগাওয়াটের সোলার ইরিগেশন সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে এখন ৩৬ লাখ উন্নত চুলার ব্যবহার হচ্ছে। আর ৭২,১০৪টি বায়োগ্যাস প্লান্ট বসানো হয়েছে। সাড়ে ৩৪ হাজার সৌরবিদ্যুৎ চালিত সড়কবাতির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ২০২০ সালে মোট চাহিদার অন্তত ১০% বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস থেকে পাওয়া যাবে। জাতীয় গ্রিডের জন্য সোলারভিত্তিক বিদ্যুতের ৫০০ মেগাওয়াট উৎপাদনের জন্য সরকার একটি কমর্সূচি নিয়েছে, যার আওতায় প্রতিটি গ্রামে সোলার মিনি গ্রিড পাওয়ার সিস্টেম, সৌরবিদ্যুৎ চালিত ডিজেল সেচপাম্প প্রতিস্থাপন, সোলার পাকর্ স্থাপন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধমীর্য় প্রতিষ্ঠান ও রেলওয়ে স্টেশনে বিদ্যুতায়নের মতো কমর্সূচি আছে। আর সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে মোট ৩২টি সোলার পাকর্ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যার মধ্যে সরকারি উদ্যোগে স্থাপন করা হবে ১০টি এবং বেসরকারি উদ্যোগে ২২টি।

আর এই সোলার পাকর্গুলোর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২,৩১৮ মেগাওয়াট।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নবায়নকৃত জ্বালানির ক্ষেত্রে বিশ্বে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রথম ও অন্যক্ষেত্রে ৫ম স্থানে রয়েছে। দেশে যে সৌর প্যানেল ব্যবহার করা হচ্ছে, তার এফিশিয়েন্সি ০.৬%। অথচ বিভিন্ন দেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের সৌর কোষের এফিশিয়েন্সি ২৩.৩% পৌঁছেছে। এই প্যানেল যদি আমাদের বতর্মান ব্যবহারকৃত ৪১ লাখ স্থাপনায় ব্যবহার করা যেত, তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেত বতর্মান উৎপাদনের চেয়ে ৪৬ গুণ বেশি। দ্বিতীয়তঃ এই প্যানেল আমদানিকৃত। এ কারণে এবং এফিশিয়েন্সি অতি স্বল্পতার কারণে উৎপাদন ব্যয় অত্যধিকÑ ইউনিট প্রতি গড়ে ৩০ টাকা বলে জানা গেছে। অবশ্য স¤প্রতি দেশে দ্বিতীয় প্রজন্মের সৌর প্যানেল আবিষ্কার করেছেন বিসিএসআইআর’র বিজ্ঞানীরা, যার উৎপাদন ক্ষমতা ৪.৩২%, আগামী বছর দুয়েকের মধ্যে এর এফিশিয়েন্সি ১০%-এর ওপরে যাবে, যা বতর্মানের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। তাই বতর্মান ও ভবিষ্যতে দেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের সোলার প্যানেল ব্যবহার করা দরকার। এ ছাড়া ২৩.৩% এফিশিয়েন্সির সোলার ব্যবহার করা বেশি মঙ্গলজনক। এ সব হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে উৎপাদন ব্যয়ও অনেক হ্রাস পেয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।

ইডকল ও স্রোডো’র তথ্য মতে, এখন পযর্ন্ত নবায়নযোগ্য উৎস থেকে মোট ৪৭১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে, যার মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় ইডকল কমর্সূচির আওতায় ১৯৫.২২ মেগাওয়াটের ৪৮ লাখ সোলার হোম সিস্টেম বসানো হয়েছে। ১০.৮৩ মেগাওয়াটের সোলার ইরিগেশন সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে এখন ৩৬ লাখ উন্নত চুলার ব্যবহার হচ্ছে। আর ৭২,১০৪টি বায়োগ্যাস প্লান্ট বসানো হয়েছে। সাড়ে ৩৪ হাজার সৌরবিদ্যুৎ চালিত সড়কবাতির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ২০২০ সালে মোট চাহিদার অন্তত ১০% বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস থেকে পাওয়া যাবে। জাতীয় গ্রিডের জন্য সোলারভিত্তিক বিদ্যুতের ৫০০ মেগাওয়াট উৎপাদনের জন্য সরকার একটি কমর্সূচি নিয়েছে, যার আওতায় প্রতিটি গ্রামে সোলার মিনি গ্রিড পাওয়ার সিস্টেম, সৌরবিদ্যুৎ চালিত ডিজেল সেচপাম্প প্রতিস্থাপন, সোলার পাকর্ স্থাপন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধমীর্য় প্রতিষ্ঠান ও রেলওয়ে স্টেশনে বিদ্যুতায়নের মতো কমর্সূচি আছে। আর সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে মোট ৩২টি সোলার পাকর্ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যার মধ্যে সরকারি উদ্যোগে স্থাপন করা হবে ১০টি এবং বেসরকারি উদ্যোগে ২২টি। আর এই সোলার পাকর্গুলোর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২,৩১৮ মেগাওয়াট। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নবায়নকৃত জ্বালানির ক্ষেত্রে বিশ্বে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রথম ও অন্যক্ষেত্রে ৫ম স্থানে রয়েছে। দেশে যে সৌর প্যানেল ব্যবহার করা হচ্ছে, তার এফিশিয়েন্সি ০.৬%। অথচ বিভিন্ন দেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের সৌর কোষের এফিশিয়েন্সি ২৩.৩% পৌঁছেছে। এই প্যানেল যদি আমাদের বতর্মান ব্যবহারকৃত ৪১ লাখ স্থাপনায় ব্যবহার করা যেত, তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেত বতর্মান উৎপাদনের চেয়ে ৪৬ গুণ বেশি। দ্বিতীয়তঃ এই প্যানেল আমদানিকৃত। এ কারণে এবং এফিশিয়েন্সি অতি স্বল্পতার কারণে উৎপাদন ব্যয় অত্যধিকÑ ইউনিট প্রতি গড়ে ৩০ টাকা বলে জানা গেছে। অবশ্য স¤প্রতি দেশে দ্বিতীয় প্রজন্মের সৌর প্যানেল আবিষ্কার করেছেন বিসিএসআইআর’র বিজ্ঞানীরা, যার উৎপাদন ক্ষমতা ৪.৩২%, আগামী বছর দুয়েকের মধ্যে এর এফিশিয়েন্সি ১০%-এর ওপরে যাবে, যা বতর্মানের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। তাই বতর্মান ও ভবিষ্যতে দেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের সোলার প্যানেল ব্যবহার করা দরকার। এ ছাড়া ২৩.৩% এফিশিয়েন্সির সোলার ব্যবহার করা বেশি মঙ্গলজনক। এ সব হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে উৎপাদন ব্যয়ও অনেক হ্রাস পেয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<8469 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1