মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিক্রির চাপে কমল সূচক-লেনদেন

যাযাদি রিপোর্ট
  ২২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

টানা তিন দিন বড় উত্থানের পর মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপে এই দরপতন হয়েছে বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, টানা দরপতনের পর ১৬-২০ জানুয়ারি তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। এতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার ফলে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে বাজারে কিছুটা বিক্রির চাপ বাড়ে। যার ফলে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে সূচকের পতন হয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, শেয়ারবাজার ভালো করতে সরকার খুব আন্তরিক এতে কোনো সন্দেহ নেই। এরপরও বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুরোপুরি ফেরেনি। যে কারণে শেয়ারের অল্প দাম বাড়তেই তারা বিক্রির প্রবণতা দেখাচ্ছেন। বিনিয়োগকারীদের এ আচরণ ঠিক নয়। বিনিয়োগকারীদের উচিত ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ ধরে রাখা।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার লেনদেন শুরুতেই সূচকের বড় পতন হয়। মাত্র ১০ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৫০ পয়েন্ট পড়ে যায়। সেই সঙ্গে দরপতন হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। তবে এক পর্যায়ে বেশকিছু ভালো প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ে। এতে বড় পতনের হাত থেকে রক্ষা পায় সূচক।

দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া মাত্র ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২৩৭টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির দাম।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এই দরপতনের ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ২৬ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৪০৮ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৫০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্‌ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার সাত পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএসইর এক সদস্য বলেন, লেনদেনের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা দেখা যায়। যে কারণে শুরুতেই সূচকের বড় পতন হয়। তবে মাঝে কিছু বিনিয়োগকারী ক্রয়ে মনোযোগী হন। এরপরও বিক্রি চাপ অব্যাহত থাকে। ফলে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে গেছে।

তিনি আরও বলেন, টানা উত্থানের পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রফিট টেকিং (মুনাফা তুলে নেয়া) প্রবণতা থাকবে এটা স্বাভাবিক। তবে গত তিন দিনের টানা উত্থানের আগে বাজার যেভাবে পড়েছে, তাতে এখই বিক্রির চাপ বাড়া স্বাভাবিক নয়। বিনিয়োগকারীদের উচিত শেয়ার ধরে রাখার দিকে মনোযোগ দেয়। বাজারে প্যানিক সেল (আতঙ্কে বিক্রি) না হলে আশাকরা যায় বাজার ভালো হবে।

এদিকে সূচকের সঙ্গে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪০৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৯৪ কোটি ৭৯ লাখ। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৮৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকার। ১৬ কোটি ছয় লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<85408 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1