করোনা মোকাবিলায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ঋণ দিল এডিবি
যাযাদি ডেস্ক
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে জরুরিভিত্তিতে দুই কোটি ৫৫ লাখ (৩ লাখ মার্কিন ডলার) ঋণ অনুমোদন দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। শুক্রবার (২৮ মার্চ) এ অনুমোদন দেওয়া হয় বলে আজ শনিবার জানিয়েছে এডিবির ঢাকা অফিস। এডিবি বলছে, এই অর্থ দিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ পার্সোনাল প্রটেক্টিভ গিয়ার্স, মাস্ক, সেফটি গগলস, অ্যাপ্রোন, থার্মোমিটার, বায়োহাজার্ড ব্যাগ কেনা হবে। এগুলো দেশব্যাপী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতা করবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, 'করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এডিবি। সরকার যেন এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে, সেজন্য প্রথম ধাপে এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলো। এর ফলে করোনা প্রতিরোধ, করোনা থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা, রোগীদের পরীক্ষা, অনেক রোগীকে সেবা দেওয়া, গণহারে ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে সরকারের শক্তি বাড়বে।' পরবর্তীতে স্বাস্থ্য ও আর্থিক খাতে সহযোগিতার জন্য তারা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বলে জানান কান্ট্রি ডিরেক্টর। এডিবির তথ্যমতে, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে করোনা মোকাবিলা করার জন্য গত ১৮ মার্চ ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রাথমিক প্যাকেজ ঘোষণা করে তারা। তারই অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে বাংলাদেশকে তিন লাখ মার্কিন ডলারের এ ঋণ দিল এডিবি।
এবার আসছে আলিবাবার পাঠানো তিন লাখ মাস্ক
যাযাদি রিপোর্ট
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তে ৩০ হাজার কিটের পরে এবার বাংলাদেশে আসছে আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা'র পাঠানো তিন লাখ মাস্ক।
রোববার দুপুর আড়াইটাই এসব পণ্য ঢাকায় পৌঁছবে বলে জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস। আপাতত এসব পণ্য চালানের প্রস্তুতি চলছে বলে শনিবার জানানো হয়।
এর আগে শুক্রবার জ্যাক মা'র পাঠানো করোনাভাইরাস টেস্টের ৩০ হাজার কিট পায় বাংলাদেশ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বাংলাদেশকে এসব কিট উপহার হিসেবে পাঠন চীনের এই ধনাঢ্য ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পরে নিজের ভেরিফাইড টুইটার একাউন্টে জ্যাক মা বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে মাস্ক, টেস্ট কিট আর নিরাপত্তা পোশাক অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন।
জ্যাক মা লেখেন, তারা ১৮ লাখ মাস্ক, দুই লাখ ১০ হাজার টেস্ট কিট, ৩৬ হাজার নিরাপত্তামূলক পোশাক দেব। সেই সঙ্গে ভেন্টিলেটর এবং থার্মোমিটারও দেওয়া হবে।
করোনা :কর্মীদের ৭৭ কোটি টাকা দিল ওয়ালটন
যাযাদি রিপোর্ট
করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝে দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের জন্য এলো সুসংবাদ। তাদের প্রায় ৭৭ কোটি টাকা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর বাইরে ওয়ালটন আরও সাড়ে ৭ কোটিরও বেশি টাকা দিচ্ছে সরকারের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে।
এদিকে এই আন্তর্জাতিক দুর্যোগের সময় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়ালটন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে যার যার সাধ্য অনুযায়ী সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে কর্মীদের এই টাকা দিয়েছে ওয়ালটন।
বুধবার ওয়ালটন গ্রম্নপে কর্মরতদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ওই অর্থ চলে গেছে। ওয়ালটনের শ্রমিক-কর্মকর্তা সবাই সমপরিমাণ অর্থ পেয়েছেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝে ওই টাকা পেয়ে মহাখুশি প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন গ্রম্নপের নির্বাহী পরিচালক (পলিসি, এইচআরএম অ্যান্ড অ্যাডমিন) এসএম জাহিদ হাসান বলেন, শতভাগ স্বচ্ছতা এবং নিয়ম-নীতি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছে ওয়ালটন। নিয়মিত ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করে প্রতিষ্ঠানটি সব মহলে প্রশংসিত। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে ৭৬ কোটি ৮০ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮০ টাকা শ্রমিক-কর্মকর্তাদের মাঝে সমবন্টন করল ওয়ালটন। এর বাইরে এ বছর সরকারি শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ওয়ালটন জমা দেবে ৭ কোটি ৬৮ লাখ ৫ হাজার ৮৪৮ টাকা। যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। ইতোমধ্যেই শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে শীর্ষ অর্থদাতা হিসেবে রয়েছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন কারখানায় কর্মরত এক শ্রমিক বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে কারখানাসহ সব অফিস ছুটি দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস যাতে না ছড়ায়, তাই সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। সাধ্যমত মানুষের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মাসের প্রায় শেষ। এর মাঝে এতগুলো টাকা পেয়ে খুব উপকার হলো। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (ক্রিয়েটিভ অ্যান্ড পাবলিকেশন) উদয় হাকিম জানান, কারখানাসহ সব অফিস ছুটি দেওয়া হলেও বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসকদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকু্যপমেন্ট), হ্যান্ড সেনিটাইজার ইত্যাদি উৎপাদন এবং বিতরণের কাজ চলছে। বোর্ড পরিচালকবৃন্দসহ বিভাগীয় প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়গুলো সার্বক্ষণিক
পর্যবেক্ষণ করছেন। দিচ্ছেন
প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা।