তরমুজ গ্রীষ্মকালীন একটি জনপ্রিয় ফল। তরমুজ দেহ ও মনে শুধু প্রশান্তিই আনে না এর পুষ্টি ও ভেষজগুণ রয়েছে অনেক। এখন দেশে এসেছে হানিডিউ তরমুজ। আকারে দেখতে স্বাভাবিক তরমুজের থেকে ছোট ও রং গাড়ো হলুদ। ভেতরটাও শরীরের রঙের প্রতিফলন।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের শাহানগাছাএলাকায় গ্রিন হাউজে চাষ হচ্ছে থাইল্যান্ডের হানিডিউ তরমুজ। জাহিদুল ইসলাম মিলন নামের এক যুবক থাইল্যান্ডের হানিডিউ তরমুজ আবাদ করে চমক সৃষ্টি করেছেন। এছাড়াও অনেক চাষিই এই তরমুজের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। হানিডিউ তরমুজের স্বাদ ও বর্ণের কারণে ইতোমধ্যে এর প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে সবার। মিলন পেশায় একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হলেও পরে আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করেন। পরিচিত হন এক বিদেশির সঙ্গে। তার পরামর্শেই ছোনগাছা ইউনিয়নের শাহানগাছা এলাকায় ২০১৬ সালে ১ একর জমিতে গড়ে তোলেন ফার্মডেক্স এগ্রো লিমিটেড।
দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় চলতি মৌসুমে থাইল্যান্ডের হানিডিউ তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন তিনি। ২ মাস আগে দুই হাজার বর্গফুটের একটি গ্রিন হাউজের মধ্যে হানিডিউ তরমুজের চারা লাগান মিলন। এরই মধ্যে গাছে ফল এসেছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই তরমুজ বিক্রির উপযোগী হবে বলে জানান তিনি। ওই কৃষি খামারে দুইজন কর্মী গাছগুলোর পরিচর্যা করেন। তারা জানান, মাটি ছাড়াই প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে নারকেলের ছোবড়ার গুঁড়ার মধ্যে হানিডিউ এর চারা রোপণ করা হয়।
এ পদ্ধতিতে কোনো মাটির প্রয়োজন হয় না। কেবল কোকোবিট ও পানিতে জন্মায় গাছ।
জাহিদুল ইসলাম মিলন জানান, কৃষিকাজে আগ্রহ আগে থেকে ছিল। এই গ্রিন হাউজে এর আগে ৬৪০টি হানিডিউ তরমুজ লাগানো হয়েছিল। আবারও ৬৪০টি হানিডিউ তরমুজের চারা লাগানো হয়েছে। প্রতিটি গাছে একাধিক ফল আসা শুরু করেছে। এর মধ্যে প্রতিটি গাছে ২টি করে ফল রাখা হবে। প্রতি কেজি ফলের মুল্য নির্ধারন করা হয়েছে ৩০০ টাকা।
আগামী সপ্তাহে গাছ থেকে ফলগুলো তোলা হবে। এবারও তিনি সফলতার মুখ দেখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও এই র্ফামে লাউ, কাঁচামরিচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা, খিরা, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি, গাঁদা, গোলাপ, অর্কিডসহ নানা ধরনের ফসল ও ফুলের চাষ পরিক্ষামূলক চালাচ্ছেন। জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আবু হানিফ জানান, জেলায় হাইড্রোপনিক পদ্ধতি একেবারেই নতুন। হাইড্রোপনিক উদ্যোক্তাদের অফিস থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে সাফল্য এলে আরও উদ্যোক্তা তৈরি হবে বলে তিনি জানান।