জামালপুরে রৈরী আবহাওয়ার কারণে সরিষার ফলন কম

প্রকাশ | ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:৪৪ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:৪৬

জামালপুর প্রতিনিধি

 

জামালপুরের বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে হলুদের সমারোহ জানান দিচ্ছে ব্যাপক সরিষা আবাদের কথা। গেলো বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছর জেলাজুড়ে ব্যাপক হারে সরিষার আবাদ হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় সরিষার কাঙ্খিত ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে জেলার কৃষকরা। তাছাড়া সরিষার ফলন যেমনই হোক সরকারিভাবে বিক্রির সুযোগ না থাকায় পাইকারদের কাছে সরিষা বিক্রি করে খুব বেশি লাভের মুখ দেখা হয়না কৃষকদের।

 

বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ আর মৌ মৌ গন্ধই জানান দিচ্ছে জামালপুরে ব্যাপক হারে সরিষার আবাদ হয়েছে। চলতি বছরের ভয়াবহ বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে আমন ধানসহ সজবি ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জেলাজুড়ে এ বছর প্রচুর পরিমানে সরিষা আবাদ করেছে কৃষকরা। তবে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে আশানুরুপ ফলন না পাওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা।

 

হঠাৎ করে তীব্র শৈতপ্রবাহের কারণে সরিষার ফুল পরিণত হতে পারছেনা। তাছাড়া ফুল ফুটলেও ঝড়ে যাচ্ছে, সরিষার দানা আকারে বড় হচ্ছেনা। এসব সরিষা দানা আকারে ছোট ও পরিমাণে কম হওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকরা। ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া যদি বিরূপ থাকে তবে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে কৃষকরা। এছাড়াও কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি অফিসের কেউ তাদের কোন প্রকার পরামর্শ দিচ্ছেনা। মেলান্দহ উপজেলার সবিলাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল গফুর জানান, চলতি মৌসুমে অন্য কোন ফসল না হওয়ায় প্রতিবারের মত এবারও তিনি সরিষার আবাদ করেছেন। কিন্তু শীত ও কুয়াশার কারণে ফলন ভালো না হওয়ায় লাভ তো দুরের কথা খরচের টাকাই উঠবেনা। জামালপুর সদর উপজেলার কম্পুপুর গ্রামের কৃষক মুসা মিয়া জানান, দেড় বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করতে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, গত বছর ১৫ হাজার টাকার সরিষা বিক্রি করতে পারলেও এবার ফুল ও সরিষা দানা কম হওয়ায় আর্থিক ক্ষতি হবে।

 

কৃষক আব্দুল করিম অভিযোগ করেন, পাইকাররা ইচ্ছা মতো সরিষার দাম নির্ধারণ করায় কৃষকরা আশানুরূপ লাভ করতে পারেনা, সরকার যদি ধান-চালের মতো সরিষা ক্রয়ের উদ্যোগ নেয় তাহলে কৃষকরা তাদের প্রকৃত লাভের মুখ দেখতে পারবে। 

 

যাযাদি/এস