কুড়িগ্রামে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন

প্রকাশ | ২৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:৫৭

মমিনুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

 

কুড়িগ্রামে গ্রামে ছোট বড় মিলে রয়েছে ১৬টি নদ-নদী। এসব নদ-নদীর অববাহিকাসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে এবার মিষ্টি কুমড়ার ব্যাপক চাষ হয়েছে, ফলনও হয়েছে বাম্পার। মিষ্টি কুমড়ার ফলন ভাল হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।

 

সরজমিনে দেখা গেছে, জেলার নদ-নদীগুলোর অববাহিকায় বালু মাটিতে সুইটি, সোহাগী, সেরা, ছক্কা ও ব্যাংকক-১ জাতের মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করেছেন কৃষকরা। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ। ফলন ভাল হওয়ায় এবার জেলাতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে সুদিনের স্বপ্ন দেখছেন চরাঞ্চলের চাষিরা।

 

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে সব মিলে খরচ হয় ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। ভাল ফলন হলে এক বিঘা জমির উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হবে ২৫-৩০ হাজার টাকা। কুমড়ার বীজ জমিতে বপনের ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যেই কুমড়া বিক্রি করা সম্ভব বলে জানান চাষিরা। কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জেলায় আনুমানিক প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে শুধু মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে।

 

কুড়িগ্রাম সদর ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের জগমনের চর এলাকার মো. মাহবুব, নুর আলম, আব্দুল খালেক ও রমজান জানান, এবার প্রথম আমরা চারজন বন্ধু মিলে এ চরে ৩৫ বিঘা জমিতে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সুইটি, সোহাগী, সেরা, ছক্কা ও ব্যাংকক-১ জাতের মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করেছি। গাছ ভালো হয়েছে ও ফুল আসছে। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে আসা করছি আগামী ১ মাসের মধ্যে বাজারে বিক্রি করতে পারবো।

 

ওই চরের কৃষক ফিরোজ ও আনিছুর বলেন, ২২ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে এক বিঘায় ২৫ হাজার টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করতে পারবো।

 

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে দেখেছি মিষ্টি কুমড়ার ফলন ভালো হয়েছে। চাষিরা তাদের কাঙ্ক্ষিত আশা পূরণ করতে পারবেন।

 

যাযাদি/এমডি