শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বউ-শাশুড়ির সবজি বাগান

বিরামপুর (দিনাজপুর) থেকে, জালাল উদ্দীন রুমী
  ১০ জানুয়ারি ২০২১, ২১:৩১

দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের কেটরা গ্রামের শাশুড়ি ফজিলা বেগম ও ছেলের বউ সুলতানা পারভিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছেন পারাবারিক সবজির বাগান। ১০ শতাংশ জমিতে নিজেই সবজির বীজ তলা তৈরীকরে বীজ বোপনের মাধ্যমে চারা প্রস্তুত করে জমিতে লাগিয়ে দীর্ঘ দুই বছরধরে সবজির বাগান তৈরীকরে সবজি চাষ করে আসছেন শাশুড়ি ফজিলা বেগম ও ছেলের বউ সুলতানা পারভিন। তাঁদের সবজি চাষের এমন আগ্রহ দেখে এলাকার অনেকেই বিশ্বয় প্রকাশ করেছেন।

বউ শাশুড়িতে মিলে নিজেই জমি প্রস্তুতকরে বীজ ও চারা রোপন করে জমির কুপের পানি তুলে নিজে হাতে সেচ দিয়ে থাকেন। তাদের বাগানে লকলকে লাউয়ের ডগা পথচারিতের নজর কাড়ে। তাঁরা তাঁদের সবজির বাগানে মিষ্টি কুমড়া, পুঁইশাক, শিম, বেগুন, ডাটা, পেঁয়াজ, টমেটো, আদা, রসুন, হলুদ, ব্রকলি, ঝাল, মুলা, করলা, পোটল, পালঙশাক, ভেন্টি, ফুলকপি, বাধাকপিসহ ২২/২৪ প্রকার সবজি চাষ করেছেন।

শনিবার বিকেলে বাগান পরিচর্যার ফাঁকে ফজিলা বেগম জানান, নিজের ইচ্ছায় সবজির বাগান করেছি। প্রধান মন্ত্রি শেখ হাসিনার নির্দেশনা আমার ভাল লেগেছে তাই ১০ শতাংশ জমিতে সবজি বাগান গড়ে তুলেছি। সরকারি ভাবে প্রশিক্ষণ ও উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা পেলে উপকৃত হত বলে তিনি জানিয়েছেন।

বাগানে পেঁয়াজের চারা রোপনকৃত অবস্থায সাংবাদিক সহধর্মিণী সুলতানা পারভিন জানান, তিনি কেটরা বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা। অনেক বছর ধরে ফ্রি শ্রম দিয়ে আসছেন। বর্তমান সারা বিশ্বে করোনার আগ্রাসন চলায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তাই শাশুগির সঙ্গে সকাল বিকেল সবজি বাগানে কাজ করছি। সংসারের সকল প্রকার সবজির চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে কিছু অর্থ সংসারের কাজে লাগাতে পারি। আর বাড়তি সময়টাও কেটেযায়।

ইউনিয়নের ধনসাডাঙ্গা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ জানান, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মেনে সাংবাদিক মিজানুরের মা ফজিলা বেগম ও স্ত্রী সুলতানা পারভিনের সবজি চাষ এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। মেয়েরা যে কৃষি কাজের সৃষ্টির হাতিয়ার সেটা বউ শাশুড়িতে প্রমান করেছে।

কৃষি অধিদপ্তরের বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিকছন চন্দ্র পাল জানান, উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের কেটরা গ্রামের সাংবাদিক মিজানুর রহমানের মা ফজিলা বেগম ও স্ত্রী সুলতানা পারভিনের নিজ উদ্যোগে সবজি চাষের কথা শুনেছি। কৃষি অফিসের পক্ষথেকে পরামর্শ প্রদানসহ তাদের প্রতি সবধরনের সহযোগিতা অব্যহত থাকবে।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে