চাটখিলে বোরো ধান রোপণে দিনমজুরের অভাব

প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০২১, ২০:১৪

চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালী জেলার চাটখিলে কৃষক এখন বোরো ধান রোপণ করছেন।  যে কারণে কৃষক এখন ব্যস্ত। তবে দিনমজুরের সংকট থাকায় এ কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

১ পৌরসভা এবং ৯ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চাটখিলের জনসংখ্যার শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এখানে বর্তমানে বছরে ১ বার বোরো ধান চাষ হয়ে থাকে। আউশ এবং আমন ধান তেমন হয় না। এক ফসলি বোরো ধানের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এখানকার কৃষক। বর্তমানে বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। এজন্য জমিতে পানি দেওয়া, হালচাষ করাসহ সব কাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ জমিতে বোরো ধান রোপণ শেষ হয়েছে।

 

বর্তমানে শীতের তীব্রতা একটু কম থাকায় কৃষকের বোরো ধান রোপণ করতে কষ্ট কম হচ্ছে। শংকরপুর গ্রামের কৃষক মনির হোসেন চৌকিদার বাড়ির আবুল হোসেন জানান, চাটখিলের লোকজনের মধ্যে অনেকে প্রবাসে চলে গেছে, আবার অনেকে বিভিন্ন পেশায় চলে যাওয়ায় এখানে দিনমজুরের সংখ্যা কমে গেছে। এতে কৃষিকাজে দিনমজুরের সংকট দেখা দিয়েছে।

 

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দিনমজুররা এসে এখানে কৃষিকাজ করছে, দিনমজুরের পারিশ্রমিকও বেশি দিতে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বোরো ধানের মধ্যে হাইব্রিড হীরা-২ সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। তাছাড়া হাইব্রিডের মধ্যে হীরা-১, বালিয়া-২, এসএল-৮, আগমনী, জনকরাজ, ময়নাগোল্ড, ঝলক, সোনার বাংলা-৬ এবং উফশীর মধ্যে ব্রিধান-৫৫, ৫৮, ৯২ চাষ হচ্ছে। এখানে বর্তমান বছরে ছয় হাজার সাত শত হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ হাজার পাঁচ শত হেক্টরে হাইব্রিড এবং এক হাজার দুই শত হেক্টরে উফশী ধান চাষ করা হবে। ইতোমধ্যে চার হাজার পাঁচ শত হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণ করা শেষ হয়েছে। বর্তমান বছরে আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সাত হাজার পাঁচ শ হেক্টর জমি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

 

চাটখিল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, বর্তমান মৌসুমে কৃষক যাতে সফলভাবে বোরো ধান চাষ করে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে সেজন্য তারা মনিটরিং করছেন। কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে সব সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। 

 

যাযাদি/এস