বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কটিয়াদীতে স্কোয়াশ চাষে সফলতা

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:০৮
আপডেট  : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:১৩

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে জালালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপুক্ষিয়া গ্রামে স্কোয়াশ সবজি চাষ করে লাভবান হওয়ায় স্বপ্ন দেখছেন কৃষক আলমগীর। এ উপজেলায় প্রথমবারের মতো স্কোয়াশ চাষ করছেন এই কৃষক। এতে কৃষিতে যোগ হলো আরেকটি নতুুুন সবজি স্কোয়াশ।

জানা গেছে, কটিয়াদী উপজেলায় ৩০ শতাংশ জমিতে স্কোয়াশ চাষ করা হয়েছে। এই জমিতে ১৫টি বেডে রোপণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪শ চারা। ফলনটি মাত্র ৬৫ দিনে বাজারে তোলা যায়। ৩০ শতাংশ জমিতে স্কোয়াশ চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। স্কোয়াশ মূলত উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাষ হয়ে থাকে। স্কোয়াশ অনেকটা দেখতে শসা আকৃতির। এটি শসার মতো লম্বা হলেও রং মিষ্টিকুমড়োর মতো। উচ্চ ফলনশীল জাতের এ সবজি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এছাড়া এটি সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়।

কৃষক আলমগীরের চাষ করা প্রতিটি চারায় ৮-১০টি স্কোয়াশ ধরেছে। সে অনুপাতে ওই জমিতে আনুমানিক ২২ হাজার স্কোয়াশ উৎপাদন হতে পারে বলে আশাবাদী ওই কৃষক। প্রতিটি স্কোয়াশের ওজন ৮শ থেকে ১ কেজিরও বেশি হতে পারে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। যা উৎপাদন খরচের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি।

উপজেলায় প্রথম স্কোয়াশ চাষি আলমগীর জানান, স্কোয়াশ চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ার কথা শুনে 'আমার মধ্যেও আগ্রহ জাগে। পরে ৩০ শতাংশ জমিতে স্কোয়াশ চাষ শুরু করি। এ পর্যন্ত আমার প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আগামী ২০ দিনের মধ্যে স্কোয়াশ বাজারে বিক্রি করতে পারব। লাখ টাকারও বেশি স্কোয়াশ বিক্রি করা যাবে বলে আশাবাদী তিনি।'

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াৎ হোসেন জানান, ‘এ উপজেলায় সর্বপ্রথম স্কোয়াশ চাষ করা হয়েছে। আমি প্রতিনিয়তই স্কোয়াশ চাষি আলমগীরের ক্ষেত পরিদর্শন করছি এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি। এটি নতুন একটা ফসল। মন জুড়ানো মাঠভরা ফসল সত্যিই খুব সুন্দর। এই ফসলের চাষ যেমন লাভজনক তেমনি কষ্টসাধ্য। অন্যান্য ফসলের চেয়ে এতে কয়েক গুণ বেশি লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুখশেদুল হক জানান, আমরা বাণিজ্যিক কৃষি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। শৌখিন ও সম্মানজনক কর্মসংস্থানের জন্য বাণিজ্যিক কৃষিতে আত্মনিয়োগ করার জন্য কটিয়াদীর কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন ফলবাগান, আগাম রবিশস্য, নানারকম উচ্চমূল্যের ফসল চাষাবাদের মাধ্যমে কৃষক লাভবান হচ্ছে। কটিয়াদীতে প্রথমবারের মতো স্কোয়াশ চাষে সফল জালালপুরের কৃষক মো. আলমগীর। আমরা লাভজনক কৃষি তথা বাণিজ্যিক কৃষি সম্প্রসারণের অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে