​মেহেরপুরে বারি সূর্যমুখী-৩ জাতের আবাদ

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:৪৬

মেহেরপুর প্রতিনিধি

 

 

মেহেরপুরে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে উচ্চ ফলনশীল বারি সূর্যমুখী-৩ জাতের ফুল চাষ হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় প্রায় ৩ হেক্টর জমিতে এই ফুলের আবাদ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে এটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

 

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উচ্চ ফলনশীল জাত সম্প্রসারণ ও সুষম সার ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির মাধ্যমে তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জেলায় প্রথমবারের মতো আবাদ হচ্ছে সূর্যমুখী। জেলায় ৩ হেক্টর জমিতে ১৫ জন কৃষক কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় ফুলটির আবাদ শুরু করেছেন।

 

সদর উপজেলার রায়পুর খন্দকারপাড়ার কৃষক ইসলাম খান যায়যায়দিনকে জানান, সার, বীজ, সেচ ও কীটনাশক মিলিয়ে বিঘাপ্রতি জমিতে সূর্যমুখী চাষে খরচ হবে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। সেখানে কৃষি অফিস বীজ ও সার দিয়েছে। ফলে তার খরচ হয়েছে ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। খরচ বাদে বিঘাপ্রতি তিনি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করার আশা করছেন।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ যায়যায়দিনকে জানান, বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। প্রতিবছর ১৪ থেকে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। যে কারণে আমাদের দেশের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যায়। সরকার সেটি নিরসনে প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে এর চাষ শুরু করেছে। জেলায় এবার বারি সূর্যমুখী-৩ জাতের চাষ হচ্ছে। এই জাতটির গাছ ছোট আকৃতির। তবে উচ্চ ফলনশীল। এই চাষটি সম্প্রসারণের জন্য কৃষি বিভাগ থেকে নিবন্ধিত কৃষকদের প্রণোদনার মাধ্যমে বীজ, সার দেওয়া হয়েছে।

 

 

 

যাযাদি/ এস