নিয়ামতপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের

প্রকাশ | ৩১ মার্চ ২০২১, ২০:৪৯

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

 

নওগাঁর শস্যভাণ্ডার খ্যাত নিয়ামতপুরের কৃষকরা এবার ২১ হাজার নয়শ ৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছেন। ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করেও কৃষকরা মাঠে কাজ করেছেন। এখন মাঠজুড়ে যেন জমি নয় পুরোমাঠ সবুজ চাদরের বিছানা। কিন্তু করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে ধান কাটা শ্রমিকের তীব্র্র সংকট দেখা দিতে পারে এমনটি আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। ফলে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার সকল কৃষক ঘরে ধান তোলা নিয়ে আগাম দুশ্চিন্তা আর দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণ করা হয়েছে। শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান বেশ ভালো হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রোগবালাই না থাকায় ধানের অনেক ভালো ফলন হবে আশা করছি।

উপজেলার কৃষকরা বলছেন, সদ্য গোলায় ওঠানো রোপা আমনের ফলন ভালো পেয়েছি। দাম ভালো পাওয়ায় লোকসানের মুখ দেখতে হয়নি কৃষককে। এ কারণে বোরো চাষের আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। বুকভরা আশা নিয়ে কৃষকরা এবার অধিক পরিমাণ জমিতে বোরো চাষ করেছেন।  বিএমডিএর গভীর নলকূপগুলো এখন পুরোপুরি চালু। এছাড়াও অনেক মাঠে শ্যালোইঞ্জিন বসিয়ে পানি সেচের মাধ্যমে বোরো চাষ করেছেন কৃষকরা। এখন কৃষকরা জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে ব্যস্ত দিন পার করছে।

নিয়ামতপুর উপজেলার মায়ামারী গ্রামের আবুল কাশেম, নংপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর, বাতপাড়া গ্রামের রইস উদ্দীন, গুজিশহরের মামুনুর রশিদসহ অনেক কৃষক বলেন, আমন আবাদে ধান পাকার পরও ধান কাটতে হাতে কিছু সময় পাওয়া যায়। ইরি-বোরো মৌসুমে নানান রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই থাকে। ফলে ধান পাকার সঙ্গে সঙ্গে কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয়।

হাজিনগর ইউনিয়নের কাপাস্টিয়া গ্রামের বদিউজ্জামান বলেন, কয়েক বছর ধরে এমনিতে ধানের আবাদে নানা কারণে লোকসান গুনতে হয়েছে। গত আমন ধানের দাম কিছুটা বেশি পেয়ে অনেকটা লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। এই মৌসুমে যদি ধানের সঠিক মূল্য পাওয়া না যায় তাহলে ব্যাপক লোকসানের কবলে পড়তে হবে।

নিয়ামতপুর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সহকারী প্রকৌশলী মতিউর রহমান জানান, এবার বোরো মৌসুমে সেচ সুবিধা দিতে ৬০৩টি গভীর নলকূপ চালু রয়েছে।

এ ব্যাপারে নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমির আব্দুল্লাহ মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সরকারি সহযোগিতা পাওয়ায় এবারে কৃষক গত বারের থেকে বেশি বোরো ধান চাষ করেছে। আবহাওয়াগত কারণে এবারে উপজেলার সকল মাঠের ধান ভালো হয়েছে। ধানে রোগবালাইও কম। এছাড়া উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিদিনই মাঠে যাচ্ছে এবং কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছে।

 

যাযাদি/ এস