শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লালপুরের নান্দ খাল পুনঃখননে কৃষকের মুখে হাসি

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
  ০৭ এপ্রিল ২০২১, ২০:০৯

একসময়ে তিন ফসলি মাঠ ছিল নাটোরের লালপুর উপজেলার নান্দ মাঠ। সে মাঠে ধান, গম, পাট, আখ, মসুর, খেসারিসহ প্রায় সব ফসলের চাষ হতো। কিন্তু এসব ফসল হতো এ মাঠের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নান্দ খালের কারণে। এ খাল যেমন বর্ষার পানি নিষ্কাশন করত তেমনি আবার শুষ্ক মৌসুমে জমিতে সেচের পানি জোগান দিত। কিন্তু কয়েক যুগ ধরে খালটি সংস্কার না করায় তা বিলীন হয়ে যায়। ফলে মাঠের কয়েক হাজার একর জমি বছরের বেশির ভাগ সময় পানির তলায় ডুবে থাকে এবং শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যায়। এতে করে তিন ফসলি জমি পরিণত হয় এক ফসলিতে। কৃষকরা খালটি পুনঃখনন করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দৈনিকে এ খালটি পুনঃখননের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে অনেক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের প্রচেষ্টায় খালটি পুনঃখননের কর্মসূচি গ্রহণ করে বিএডিসির পানাসি সেচ প্রকল্প।

এ বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে বিএডিসির পানাসি সেচ প্রকল্পের আওতায় ৬.২ কিলোমিটার নান্দ খাল পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করেন নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল। কাজের উদ্বোধনের পর থেকেই খনন কাজ শুরু হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, খাল খননে নামানো হয়েছে এস্কেবেটর মেশিন (স্থানীয় নাম ভেকু)। খনন করা হচ্ছে খাল। আর এ খাল খননের ফলে কৃষকের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার, মুখে তাদের হাসির ঝিলিক।

নান্দ গ্রামের মাজদার রহমান জানান, এ মাঠে তার ৪০ বিঘা জমি আছে। এ মাঠের মাঝ দিয়ে ৮০-এর দশকে একটি কম (৩-৫ ফুট) প্রশস্তের খাল খনন করা হয়েছিল। তখন থেকে এ মাঠে সব রকম ফসলের চাষ করা হতো। কিন্তু ৯০-এর দশকে খালটি ভরে গেলে মাঠে পানি জমে থাকে। এতে করে বছরের বেশির ভাগ সময় মাঠটি জলমগ্ন থাকে। আবার শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাব দেখা দিত।

লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, এ খালটি পুনঃখননে হাজার হাজার কৃষক উপকৃত হবেন।

বিএডিসি নাটোরের রিজিয়ন নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানান, আমরা স্বল্প ব্যয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছি, কাজটি সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য এলাকাবাসীসহ সবাই সচেষ্ট আছি।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে