ঝালকাঠির রাজাপুরে সাম্প্রতিক আকস্মিক পুর্ণিমার জোয়ারের পানিতে তরমুজ ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় মাঠেই নষ্ট হচ্ছে আধাপাকা ফল। উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের মানকিসুন্দর এলাকায় বিশখালি নদীর বিস্তির্ন চরাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে।

জানাগেছে, মানকিসুন্দর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদারসহ এলাকার ৮জন কৃষ তরমুজ চাষে উদ্বত হয়ে অন্যের কাছ থেকে ১০ একর জমি তিন মাসের লিজ নিয়ে তরমুজের বড় আবাদ শুরু করেন। লাভের আশায় চড়া সুদে লাখ লাখ টাকার ঋণ করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক পূর্নিমার প্রভাবে আকষ্মিক জোয়ারের পানিতে ভেসে যেতে বসেছে তাদের স্বপ্ন। তাদের সাথে আরও ১০জন দিনমজুরের অক্লান্ত শ্রমে যখন মাঠে হেসে ওঠে তরমুজের ফলন, ঠিক তখন জোয়ারের পানিতে সেই হাসি কান্নায় পরিনত করে।

সংস্কৃতি, সভ্যতা ও অর্থনীতির প্রতীক-সাদা স্বর্ণ (তুলা)

এদিকে জোয়ারের পানি একদিন পর নেমে গেলেও বেশির ভাগ তরমুজ গাছের গোড়া বিদ্ধস্ত হয়েছে। আর এ কারণে আকারে বড় হতে পারবে ফলনের একটি বড় অংশ। প্রতিকুলতার মধ্যে ফসল বিক্রির পরে তাদের সব খরচ মিটিয়ে আসল নিয়ে ঘরে উঠতে পারবে কিনা তা নিয়ে চাষীরা রয়েছে দুর্চিন্তা।

শুধু মানকীসুন্দর গ্রামের তরমুজই নয়, উপজেলার সাংগর, শুক্তাগর, কেওতা, পালট গ্রামের তরমুজের চাষ হয়েছে। উপজেলায় এ বছর ২২ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ মেট্রিকটন। এখন মাঠে আধাপাকা তরজুম। আর কদিন পরেই ফলন কাটা শুরু হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উল্লাহ বাহাদুর বলেন, মাঠে চাষীদের বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে ক্ষতি পুশিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। এছাড়াও তাদের কৃষি প্রনোদনার কর্মসূচি খরিপ ১/২০২১-২২ মৌসুমে উফশী আউশ এর আওতায় নেয়া হয়েছে।

যাযাদি/এস