শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে কীটনাশক ব্যবসায়ীর ভুল পরামর্শে পুড়ে গেল ধান

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী
  ১৭ এপ্রিল ২০২১, ২০:৪২

নীলফামারীতে কীটনাশক বিক্রেতার ভুল পরামর্শে পুড়ে গেল ধান ক্ষেত। ধান ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমন দেখা দিলে গ্রাম্য কীটনাশক ব্যবসায়ীর পরামর্শে ঔষধ কিনে দুই বিঘা জমিতে স্প্রে করে কপাল পড়ালেন বর্গাচাষী রেজাউল রহমান স্বপন। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের বাবুরডাঙ্গা গ্রামে।

এবিষয়ে রেজাউল রহমান স্বúন বলেন, গত শনিবার বাবুরডাঙ্গার আবুল হাসেমের(হাস্যা) সার, বীজ ও কীটনাশকের দোকানে গিয়ে জমিতে মাজরা পোকার আক্রমন দেখা দেয়ার বিষয়টি জানালে হাস্যা আমাকে এরোক্সন ২০এসএল ওষধটি জমিতে স্প্রে করতে বলে। তার কথা মতো তার দোকান থেকে ঔষধ কিনে ড্রামে মিশিয়ে জমিতে স্প্রে করি। দুইদিন পর দেখি সবুজ রঙ্গের পাতাগুলো পুড়ে গেছে। পড়ে অন্য একজনের মাধ্যমে জানতে পারি মাজরা পোকা দমনের ঔষধ না দিয়ে ঘাস মারার ঔষধ দিয়েছে দোকানদার। সুদের উপর ও এনজিও কাছে লোন নিয়ে পাচঁ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। বিষয়টি হরিনচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামকে জানালে তিনি মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখে উক্ত কীটনাশক ব্যবসায়ীর ছত্রিশ মণ ধান জড়িমানা করেন।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, এসব অশিক্ষিত সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীরা কিভাবে যে দোকান খুলে বসেছে, নেই তাদের প্রশিক্ষন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, চিকিৎসা দেবার নামে অপচিকিৎসা করছে এরা। কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের(বিএস) ফোন করে চিকিৎসা বা পরামর্শ চাইলে তারা ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে আর আসেননা।

আবুল হাসেমের(হাস্যা) সার, বীজ ও কীটনাশকের দোকানে গিয়ে দেখা গেলো দোকানের একটি অংশে গালামাল ও আর একটি অংশে সার, বীজ ও কীটনাশক। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করে আসছে।

এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শনিবার মুঠোফোনে জানান, ক্ষেত পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি যেনেছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। উক্ত সার, বীজ ও কীটনাশকের দোকানটি বন্ধ করে দিয়েছি।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে