​সিলেটের বাঘা হাওড়ে বাঁধ, কৃষকদের সর্বনাশ!

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০২১, ২১:০২

সিলেট অফিস

 

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের বাঘা হাওড়ের ইঙ্গখালের পাড়ে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে বাঁধ তৈরি করে কৃষকদের প্রতিবন্ধকতা তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে স্থানীয় কৃষকরা শুকনো মৌসুমে ফসলি জমিতে সেচের জন্য পানি পাবে না। বর্ষা মৌসুমে ধান বোঝাই নৌকা চলাচলে বিঘ্ন ঘটার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বুধবার সকাল থেকে বাঘা হাওড়ে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে এ বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, বাঘা ইউনিয়নের মাঝেরমহল্লা গ্রামের আরজমন্দ আলী বাঘা হাওড়ে ফিশারি করার কথা বলে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটাচ্ছেন। এই হাওড়ে বোরো মহল্লার কৃষকরা ধান চাষ করেন। শুকনো মৌসুমে ইঙ্গখাল থেকে সেচের পানি দেন ধানক্ষেতে। আবার বর্ষা মৌসুমে নৌকা নিয়ে ধানক্ষেতে আসা-যাওয়া করেন কৃষকরা। এস্কেভেটর দিয়ে মাটির স্তূপ করে বাঁধ দিলে কৃষকদের এই কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় কৃষক শাহাব উদ্দিন, মুকিম আহমদ, ফয়েজ ও শফিক আহমদ বলেন, ‘এই হাওড়ে আমাদের গরুর জন্য ঘাস কাটা হয়। ধানক্ষেতে ইঙ্গখাল থেকে পানি দেওয়া হয়। নৌকা নিয়ে বর্ষায় এই হাওড় দিয়ে চলাচল। স্থানীয়রা হাওড়ের ডোবায় মাছ ধরে খায়। বাঁধ তৈরি কৃষকদের জন্য ক্ষতিকর হবে। সরকারের কাছে জোর দাবি, এই বাঁধে জড়িত লোককে আইনের আওতায় আনা হোক।’

স্থানীয় মুরব্বি আতাব মিয়া বলেন, ‘এই বাঁধ কৃষকদের অনেক ক্ষতি করবে। কৃষকদের ধান সকল নষ্ট হয়ে যাবে।’

বাঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছানা মিয়া বলেন, ‘এই বাঁধ নির্মাণের কোনো পারমিশন আছে কি না- আমার জানা নেই। এখানে বাঁধ হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আরজমন্দ আলী বলেন, ‘হাওড়ের এই জায়গাটি খাস। এলজিইডি তাদের সমিতিকে জায়গাটি হস্তান্তর করেছে।’

গোলাপগঞ্জ উপজেলার ইউএনও মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এই বাঁধের ব্যাপারে আমার জানা নেই। বিষয়টি এসিল্যান্ডকে অবগত করা হবে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোলাপগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপমা দাস বলেন, ‘হাওড়ে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে বাঁধ তৈরির ব্যাপারে আমার জানা নেই। অবশ্যই কৃষকদের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।’

 

যাযাদি/ এস