মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পাইকগাছায় তরমুজের বাম্পার ফলন

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
  ২২ এপ্রিল ২০২১, ১৮:১৩

পাইকগাছার উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর উপজেলায় ১১শ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলেও তরমুজের ফলনের কোনো সমস্যা হয়নি।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, তরমুজ পুষ্টিগুণে ভরা একটি ফল। এর প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি। তরমুজ প্রচণ্ড গরমে পানির চাহিদা পূরণ ও শরীর ঠান্ডা রাখে, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদপিণ্ড ভালো রাখে। তরমুজ মানবদেহের হৃদরোগ, হাঁপানি, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ ও ক্যানসার প্রতিরোধ করে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। সুষ্ঠু রক্ত সঞ্চালন, মুখের ঘা, সর্দি, ঠান্ডা জ্বর প্রতিরোধ করে, কিডনি ভালো রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হাড়ের জোড়া মজবুতসহ চোখের সমস্যা দূর করে। ঔষধি গুণের পাশাপাশি তরমুজ একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় উপজেলার দুটি ইউনিয়নে দীর্ঘদিন তরমুজ হয়ে আসছে। গত বছর উপজেলায় ৫১০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১১শ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে দেলুটি ইউনিয়নে এক হাজার হেক্টর ও গড়ইখালী ইউনিয়নে ১শ হেক্টর। গড়ইখালী ইউপির প্রিতিষ মন্ডল ও দ্বিজেন মন্ডল জানান, আমরা দুজন সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এ জমিতে চাষ করতে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ৩ লাখ টাকা বেচাকেনা হবে। তারা আরও বলেন, আমরা এক বিঘা জমিতে পানি, সার কীটনাশক ছাড়াই চাষ করেছি। দেখা গেছে পানি, কীটনাশক ছাড়া চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। এ এক বিঘা জমিতে প্রায় ১ লাখ টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছি। একই এলাকার প্রসেনজিৎ ও দিপক জানান, তারা ৬ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। মোট খরচ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। আশা করছেন ৬ লাখ টাকার মতো বিক্রি হবে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে