মণিরামপুরে কমে যাচ্ছে কাঁঠাল চাষ

প্রকাশ | ২৬ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৫১

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এ ফলগাছটি দিনদিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে মণিরামপুরের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত থাকায় পানি অসহনীয় ফলগাছটি দিনদিন হারিয়ে যাওয়ার পথে। ফলে আবহাওয়ার প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেমন হুমকির মুখে, তেমনি মানুষের শরীর থেকে পুষ্টিগুণ ঝরে পড়ছে।

বাংলা নামধারী জাতীয় ফল কাঁঠালের ইংরেজি নাম হলো Jackfruit । যার বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus । ফলটি মোরাসিয়া পরিবারের (ডুমুর বা পাউরুটি পরিবারের প্রজাতি) এবং অর্টোকার্পাস গোত্রের ফল। এর মূল উৎস দক্ষিণ ভারতের পশ্চিম ঘাট এবং মালয়েশিয়ার রেইন ফরেস্টের মধ্যবর্তী অঞ্চলে।

জানা যায়, কাঁঠাল সকল ফলের মধ্যে বৃহত্তম আকারের। বাংলাদেশের সর্বত্রই কাঁঠাল পরিদৃষ্ট হয় এবং এর পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি। দেশের আনাচে-কানাচে কাঁঠালের সহজলভ্যতা বা প্রাপ্তিই রয়েছে। এছাড়া গ্রামের শ্রমজীবী আপামর জনসাধারণের কাছে কাঁঠালের গুরত্ব অপরিসীম বলে এটা জাতীয় ফল হিসেবে পরিচিত। কাঁঠালের দাম অন্যান্য ফলের তুলনায় কম হওয়াতে গরিব মানুষও এটা খেতে পারে। তাই কাঁঠালকে গরিবের ফল বলা হয়। সাধারণত লালচে মাটি ও উঁচু এলাকায় এ ফলগাছটি বেশি দেখা যায়। তবে মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং পার্বত্য এলাকায় সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। উদ্যানতত্ত্ব অনুবিভাগ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা সূত্রমতে বাংলাদেশে ৭৬ হাজার ২৯৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল চাষ হচ্ছে। কাঁঠাল চাষে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মশ্মিমনগর, কাশিমনগর, চালুয়াহাটী, শ্যামকুড় আংশিক, মণিরামপুর সদর, রোহিতা ইউনিয়ন উঁচু ভূমির এলাকা হওয়ায় এসব অঞ্চলে অধিক পরিমাণে কাঁঠাল গাছ রয়েছে এবং প্রচুর ফল ধরছে গাছে। তবে, উপজেলার পূর্বাঞ্চলের খানপুর, দূর্বাডাঙ্গা, কুলটিয়া, নেহালপুর এবং মনোহরপুর ইউনিয়নের কিছু কিছু উঁচু স্থান বাদে অধিকাংশ জায়গায় কাঁঠালগাছ মরে সাবাড় হয়ে গেছে।

 

যাযাদি/এস