​ধান-খড় শুকাতে ব্যস্ত হাওর পাড়ের কৃষক -কৃষাণী

প্রকাশ | ০৬ মে ২০২১, ১৯:০৬

দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

 

হাওরপাড়ের বোরো ফসলের এলাকা হিসেবে পরিচিত দিরাই উপজেলা। এই এলাকার ৯৫ ভাগ লোকের প্রধান আয়ের উৎস এক ফসলী বৈশাখী ধান। কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ, ধান কাটান শ্রমিক সংকট ছাড়া মনোরম পরিবেশে কৃষক তাদের সোনালী ধান মারাই দিয়ে বাড়িতে আনতে পেরে মহাখুশি । ধান কাটা প্রায় শেষ।

 

এখন কৃষক -কৃষাণী ধান ও খড় শুকাতে ব্যস্ত। বরাম হাওর পাড়ের কৃষক মুজিবুর রহমান বলেন, কয়েক বছরের মাঝে এবার আমরা প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও ধান কাটার শ্রমিক সংকট ছাড়া আমাদের ছয় মাসের কষ্টের সোনালী ফসল বৈশাখী ধান ঘরে আনতে পেরেছি। ধান কাটা প্রায় সকল হাওরে শেষ, এখন ধান ও খড় শুকাতে সবাই ব্যস্ত। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সপ্তাহের মধ্যে ধান ও খড় শুকানো শেষ হয়ে যাবে। কৃষাণী আলেয়া বেগম বলেন,  কয়েক বছরের মধ্যে এবারই আমরা ধান মারাইর সাথে সাথে শুকাতে পেরেছি, কারণ  একদিন ও দিনের বেলা বৃষ্টি হয়নি, তাছাড়া এবার ধানের ফলন ও ভালো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ছোট বেলা দেখতাম বৈশাখী ধান বাড়িতে আসলে আমাদের মা-খালারা বীজা ধান বড় বড় ড্রামে সিদ্ধ দিতেন, তারা বলতেন নতুন ধানে সিদ্ধ ছাড়া ভালো চাউল হয়না, তাই অধিকাংশ পরিবারে বছরের প্রথম এক দুই মাস সিদ্ধ চালের ভাত খেতেন। কালের আবর্তি ধান সিদ্ধ দেওয়ার প্রথা বিলুপ্তির পথে হলেও এখনো কোনো কোনো এলাকায় এ প্রথা চালু আছে ।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এবার উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, ৩০হাজার ১১০হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান আবাদ করা হয় , প্রায় ১লাখ ৯৭ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপন্ন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান ও খড় সাথে সাথে শুকাতে পেরেছেন হাওর পাড়ের কৃষক কৃষাণী।

 

যাযাদি/এস