শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেহেরপুরে ড্রাগন চাষে স্বপ্ন পূরণের পথে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম

মেহেরপুর প্রতিনিধি
  ০৫ জুন ২০২১, ১৭:৫৪

মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের ড্রাগন চাষ কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। বাগানটি এখন ফল ফুলে ভরে উঠছে। উচ্চ ফলনশীল এই ড্রাগনফল চাষ শুধু চাষি নয় বেকার যুবকদেরও অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।

সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। ড্রাগন ফলের চাষ করে সফলতার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ইউটিউব ঘেঁটে সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতিতে ঝিনাইদহ থেকে তার ছেলের মাধ্যমে প্রায় ৬ হাজার চারা কিনে রোপণ করেন তার ৫০ শতাংশ জমিতে। গাছগুলো এখন ভরে উঠেছে ফুল ফলে। অল্প জমির শতভাগ ব্যবহারের লক্ষ্যে ড্রাগন চাষের প্রচলিত পদ্ধতি টায়ারে না লাগিয়ে তা সিমেন্টের খুটি পুঁতে তার ওপর প্লাস্টিক পাইপ দিয়ে মাচা তৈরি করে চাষ করেছেন ড্রাগন। প্রচলিত নিয়মে সাধারণত বিঘাপ্রতি ১২০০ চারা রোপণ করা হয় কিন্তু এই পদ্ধতিতে আব্দুস সালাম বিঘাপ্রতি চারা রোপণ করেছেন ৪০০০। তার এই ড্রাগন চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৮ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে তিনি চারা ও কিছু ফল বিক্রি করে খরচের অর্ধেকটা তুলে নিয়েছেন। বর্তমানে তার বাগানে যে ফল এসেছে তা থেকে তিনি ১০-১২ লাখ টাকার ফল বিক্রির আশা করছেন।

ড্রাগনফল চাষে তাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে পুলিশে কর্মরত তার ছেলে তারিক হোসেন। তিনি জানান, তার কর্মস্থল ঝিনাইদহে ড্রাগন চাষ দেখে তার বাবাকে চারা সংগ্রহসহ বিভিন্ন পরামর্শের মাধ্যমে বাবাকে ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ করেছি। এখন এই ড্রাগন বাগান দেখে আমার খুব ভালো লাগে। এখন বাগানে যা ফল এসেছে তাতে তিনি মনে করেন ২৫ মণ ড্রাগন উঠবে।

আব্দুস সালামের ড্রাগন চাষ পদ্ধতি এখন এলাকার অনেক চাষিকেই অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে ড্রাগন চাষে। পাশাপাশি অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে এই বাগানে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ জানান, ড্রাগন সম্ভাবনাময় এবং উচ্চ মূল্যের ফসল। তাই এই চাষ বাড়ানোর জন্য চাষিদের পাশে থেকে পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরা। ড্রাগন চাষ বেকার যুবকদের মাধ্যমে সম্প্রসারণ করা গেলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে