চৌহালীতে যমুনার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে চরের শত শত বিঘা বাদামের খেত

প্রকাশ | ১৪ জুন ২০২১, ১৮:১৩

রোকনুজ্জামান চৌহালী প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের  চৌহালী   উপজেলায় যমুনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের শত শত বিঘা বাদামখেত তলিয়ে গেছে। এসব স্থানে বাদামচাষিরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তলিয়ে যাওয়া বাদাম তোলার চেষ্টা করছেন। আবার কোনো কোনো স্থানে চাষিরা তলিয়ে যাওয়ার ভয়ে আধা পাকা বাদামও তুলে ফেলছেন। সব মিলিয়ে বাদাম চাষে চরম লোকসানের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

 

উপজেলা কৃষি কার্যালয় ও কৃষকদের সূত্রে জানা গেছে, চৌহালী  উপজেলার  চরাঞ্চলে প্রতিবছর প্রচুর বাদামের আবাদ হয়ে থাকে। এবার উপজেলার সাতটি   ইউনিয়নের ২ হাজার ৩ শত ৫১  হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ করা হয়েছে। আর দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই বাদাম কৃষকদের ঘরে ওঠার কথা। আবাদ করা বেশির ভাগ জমির বাদাম এখনো পুরোপুরি পুষ্ট না হয়ে আধা পাকা অবস্থায় রয়েছে।

 

কৃষকেরা জানান, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু করে প্রায় এক মাস ধরে কৃষকেরা চরের বালুমিশ্রিত জমিতে বাদাম আবাদ করে থাকেন। আর সেই বাদাম জমি থেকে তোলা শুরু হয় মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে। সাধারণত জুনের শেষ সপ্তাহের মধ্যে সব বাদাম কৃষকের ঘরে উঠে যায়।

 

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, তিন দিন ধরে যমুনার পানি দ্রুত বাড়ছে। এরই ফলে চরাঞ্চলের বাদামের খেত তলিয়ে যাচ্ছে। কৃষকেরা জানান, তাঁরা ঈদের পর জমি থেকে বাদাম তোলার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই উঠতি বাদাম তলিয়ে যাওয়ায় তাঁরা চরম বিপাকে পড়েছেন। ঠিক এই সময়েই আবার শ্রমিকসংকটও দেখা দিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক স্থানেই চাষিরা পরিবারের নারী, শিশুসহ সব সদস্যকে নিয়ে ডুবে যাওয়া বাদাম তুলছেন। কিন্তু এভাবে বাদাম তোলার পর অর্ধেক ফলনও পাওয়া যাচ্ছে না। এর ওপর বেশির ভাগ ডুবে যাওয়া জমি থেকে বাদাম তোলা সম্ভবও হচ্ছে না।

সোমবার  সরজমিনে  গিয়ে  দেখা যায়  উপজেলার  খাষকাউলিয়া, খাষপুকুরিয়া,বাঘুটিয়া  ও উমারপুরসহ বেশ কিছু চরে  বাদাম তলিয়ে  যাচ্ছে   ৷ এ বিষয়ে  চৌহালী  উপজেলা  কৃষি  সম্প্রসারণ অফিসার  নাসিব  আহমেদ  জানান,এ বছর পানির কারনে বাদাম চাষে কৃষকদের  কিছু ক্ষতির সম্ভাবনা  আছে ৷ তবে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা  ছিল এ উপজেলায় ১.৪২ মেক্টিক টন ৷

 

যাযাদি/এস