শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পোল্ট্রি খামারী টিপুর এখন লাভের বদলে গুনতে হচ্ছে লোকসান

চিতলমারী(বাগেরহাট) প্রতিনিধি
  ০৮ জুলাই ২০২১, ১৮:৩৪

করোনার প্রভাবে পোল্ট্রি খামারী টিপুকে এখন লাভের বদলে গুনতে হচ্ছে লোকসান। মাত্র কয়েকদিন আগেও তার খামারে ছিল পাইকারদের আনাগোনা কিন্ত্র এখন সেখানে শুনসান নীরবতা। বাইরে চলছে কঠোর লক ডাউন। এ অবস্থায় খরিদদারের অভাবে মুরগি ও ডিম নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। পরিস্থিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে সে আশায় বসে আছেন তিনি। এমনই পরিস্থিতির সম্মূখীন হয়েছেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চরশৈলদাহ গ্রামের পোল্ট্রি খামারী নাজমুল হক টিপু।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, নাজমুল হক টিপু প্রায় ১০ বিঘা জায়গার উপর পোল্ট্রি খামারসহ মাছের চাষ ও বিভিন্ন ফলের বাগান করেছেন। তার খামের প্রায় ৫ হাজার ব্রয়লার মুরগি রয়েছে। এতে কয়েক হাজার ডিম দেয় প্রতিদিন। এসব ডিম স্থানীয় পাইকাররা খামার থেকে কিনে নেন। কিন্তু চলমান লকডাউনে কোন পাইকার আসছে না খামারে। পাশাপাশি বাজারে ডিমের মন্দা দেখা দেওয়ায় এখন সঠিক দাম পাচ্ছেন না। বর্তমান ডিম বিক্রি করে লাভ দূরে থাক লোকসান গুনতে হচ্ছে তাকে। তিনি ১০ বছর আগে এ খামারটি গড়ে তোলেন। একজন স্বাবলম্বী উদ্যক্তা হিসাবে অল্প দিনে তিনি খামার পরিচালনা করে লাভের মুখ দেখলেও এখন লক ডাউনের কারণে হতাশায় ভুগছেন।

খামারে কর্মরত শ্রমিক চিন্ময় জানান, এখানে কাজ করে ১০-১৫ জন শ্রমিকের সংসার চলে কিন্তু করোনার পর থেকে এখন তাদের তেমন কোন কাজ নেই। এতে আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন তারা।

শৈলদাহ গ্রামের বাসিন্দা আবুসাঈদ জানান, নাজমুল হক টিপু একজন পরিশ্রমী মানুষ। তিনি বেশ সুন্দর একটি ফলের বাগান, পোল্টিফার্ম ও মাছের খামার করেছেন। এখানকার ব্রয়লার ডিম ও মুরগীর মাংসের এলাকায় বেশ চাহিদা রয়েছে।

নাজমুল হক টিপুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বেকারত্ব দূর করার জন্য খামারটি করেছেন তিনি। অল্পদিনে খামার থেকে বেশ সফলতা পেয়েছেন কিন্তু চলমান লকডাউনের কারণে সব উন্নয়ন থমকে গেছে। গত বছর লকডাউনে তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ লোকসান কিভাবে কাটিয়ে উঠবেন সে ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে