শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাতকানিয়ায় গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজ চাষে তিন ভাইয়ের বাজিমাত

লোহাগাড়া/সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ২৯ জুলাই ২০২১, ১৬:২৪

জমির একপাশ থেকে অন্যপাশে সারি সারি মাচা। লম্বা মাচায় ঝুলছে হাজারো তরমুজ। নেটের ব্যাগের মধ্যে ভরে সেই তরমুজ বেঁধে রেখেছেন মাচার সঙ্গে। তবে সাধারণ কোনো জাতের তরমুজ নয়। গোল্ডেন ক্রাউন জাতের।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ৯৮ শতক মাটিতে রসে ভরা বিদেশি এ ফল চাষ করেছেন উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের তিন ভাই। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের পরামর্শে ৪২ শতক জমির জন্য ৭০ গ্রাম বীজ সংগ্রহ করেন কৃষক আবুল হোসেন। জানতে চাইলে যায়যায়দিন প্রতিবেদক কৃষক জানান, সিডলিং ট্রেতে ভার্মিকপোস্ট আর কোকোপিটের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করে গেল মে মাসের ২৩ তারিখে জমিতে রোপণ করেন তিনি। প্রায় দু’মাসের মাথায় ফল আসে। গত ২০ জুলাই থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ফল তুলতে শুরু করেন। ৪২ শতক জমিতে এ চাষ করতে তার খরচ হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। আর পুরো বাগান বিক্রি করে তিনি পেয়েছেন আড়াই লাখ টাকা।

এছাড়া তার ছোট ভাই আবুল হাশেমের ৪০ শতক জমি থেকে স্থানীয় বাজারে এ পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেছেন। আরেক ভাই আবুল কাশেম ১৬ শতক জমি জুড়ে লাগিয়েছেন বিদেশি এ ফলের গাছ। তিনিও স্থানীয় বাজারে পাইকারি দরে বিক্রি করছেন। কৃষক আবুল হোসেন জানান, মে মাসের ২৩ তারিখে চারা লাগিয়ে তিনি ৬০-৭০ দিনের মাথায় ফলন পেয়েছেন। পুরো ৪২ শতক জমিতে তার খরচ লেগেছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। আর তিনি পুরো বাগান বিক্রি করেছেন আড়াই লাখ টাকায়। স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী এসব ফল ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ফল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় সাতকানিয়ার ছদাহায় সর্বপ্রথম আবুল ফয়েজ নামে একজন গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজ চাষ শুরু করেন। এরপর একই ইউনিয়নের আবুল হোসেন, আবুল হাশেম ও আবুল কাশেম বিদেশি এ ফল চাষ করতে আগ্রহী হন। তাদের আগ্রহে কৃষি অফিস থেকে পূর্ণাঙ্গ সহায়তার পাশাপাশি নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দুটি প্রদর্শনী দেওয়া হয়। সেখানে প্রায় দু’মাসের মাথায় ফলন আসে। উদ্যোগ নিলে এভাবে দেশে এ বিরল প্রজাতির তরমুজ চাষ সম্ভব।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে