বোয়ালমারীতে পাটের আবাদে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২১, ১১:১৫

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

 

পাটকে বলা হয় সোনালি আঁশ। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে পাটের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কৃষকরা পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। তবে এই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। দেশে সোনালী আঁশ পাটে সুদিন ফিরতে শুরু করেছে। কৃষকরাও পাটের ভাল দাম পেয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে পাট চাষে।

 

গত বছর সোনালী ফসল পাটের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কৃষকরা পাট চাষে ঝুঁকেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রকৃতি ও বাজার পাট চাষিদের অনুকূলে থাকায় উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা প্রতিবছর কিছুটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর উপজেলায় ১৬ হাজার ৫৫৪ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৬০০ হেক্টর বেশি। এ বছর আবাদকৃত পাটগাছ কেটে কৃষকরা ইতিমধ্যে আঁশ পাট ঘরে তুলতে শুরু করেছে। এবার পাটের ভালো ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। কৃষকরা বর্তমান পাটের বাজার দর অনুযায়ী উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে ভালো লাভ পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

 

উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি গ্রামের কৃষক মোঃ বাবুল শেখ বলেন, ৩৩ শতকের এক বিঘা জমিতে পাট চাষ বাবদ বীজ, সার, কীটনাশক, পরিচর্যা ও আনুষাঙ্গিক খরচসহ রোদে শুকিয়ে তা ঘরে তোলা পর্যন্ত ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। আর উৎপাদন হয় ৯-১০ মণ। আরেক কৃষক মোঃ মজিবর মোল্লা বলেন, এবার উপজেলা কৃষি অফিস থেকে নতুন জাতের রবি-১ পাটের প্রদর্শনী পেয়েছি। এই পাটের ফলন ভালো এবং এই জাতের পাট অধিক খরাতেও পাতা তেলতেলে থাকে, সেচ কম লাগে।

 

বোয়ালমারী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রীতম কুমার হোড় জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে এ উপজেলায় পাট আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার ৫৫৪ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে, যা পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার ৬০ হেক্টর থেকে ১ হাজার ৪৯৪ হেক্টর বেশি।

 

তিনি আরও উল্লেখ করেন পাটের বীজ বপন ও পরবর্তী কিছুদিন খরা দেখা দেওয়ায় পাটের জমিতে কৃষকদের এবার ১-৩ টি অতিরিক্ত সেচ দিতে হয়েছে। তবে পরবর্তীতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাটের ভালো ফলন হয়েছে এবং কর্তনকৃত পাট সহজেই জাগ দিতে পারছে। বাজারে পাটের দাম এরকম থাকলে পরবর্তীতে কৃষকগণ আরও ব্যাপকভাবে পাট চাষে উদ্বুদ্ধ হবে। কৃষকেরা যাতে পাট চাষে কোন সমস্যায় না পড়ে সেজন্য উপজেলা কৃষি অফিস সবসময় বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

 

যাযাদি/এস