​ বাণিজ্যিকভাবে ওলকচু চাষে লাভের স্বপ্ন

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৫৮

মো. নুরনবী ইসলাম, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

 

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় কৃষিতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ওলকচুর চাষাবাদ। উপজেলায় প্রথমবারের মতো উচ্চফলনশীল এ সবজি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন উপজেলার ১২ জন কৃষক। স্থানীয়ভাবে অনেকটা অপরিচিত এ সবজি থেকে দ্বিগুণ মুনাফার স্বপ্ন দেখছেন তারা।

 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নতুন এ সবজি ১২ জন কৃষককে নির্বাচিত করা হয়। পরে তাদের ওলচাষের পদ্ধতি ও চাষাবাদ বিষয়ে প্রশিক্ষণের পর ২০ শতক করে জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের জন্য ‘ওলকচুর প্রদর্শনী’ হিসেবে বীজ, সার ও পরিচর্যার জন্য খরচ প্রদান করা হয়। মাদ্রাজি ওলকচু জাতের এসব বীজ খুলনা ও চুয়াডাঙ্গা থেকে নিয়ে আসা হয়। এসব বীজ এপ্রিল মাসের শেষের দিকে রোপণ করা হয়েছিল। যা চলতি মাসে উত্তোলন করা হবে।

 

সরেজমিনে উপজেলার ভাবকি ইউনিয়নের চককাঞ্চন গ্রামে মহসীন আলীর ওলকচু ক্ষেতে দেখা যায়, ২০ শতক উঁচু জায়গার ওপর ওলকচু চাষ করেছেন তিনি। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে, বেড়ে উঠছে সারি সারি সবুজ ওলগাছ। কয়েকটি শাখায় বিভক্ত হয়ে পাতাগুলোকে দু’দিকে সাজিয়েছে গাছগুলো। এ সময় গাছের পরিচর্যা করছিলেন কৃষক মহসিন আলী।

 

তিনি জানান, প্রতিটা গাছে ৭ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। আবহাওয়া ও পরিচর্যা ভালো হওয়ায় এ জমি থেকে ১৫০-২০০ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যেতে পারে। বাজারে প্রতি কেজি ওলকচুর দাম ৪০-৫০ টাকা। সে হিসাবে খরচ বাদে ৮০-৯০ হাজার টাকা মুনাফা করার স্বপ্ন রয়েছে তার।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, সব অঞ্চলেই উঁচু জমিতে ওলকচু চাষ করা যায়। বর্তমানে বাজারে দাম ও চাহিদা ভালো থাকায় বাণিজ্যিকভাবে ওলচাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব। এই ওল চাষ সম্প্রসারণে আমরা কৃষকদের উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধকরণের চেষ্টা করছি ও নানাভাবে পরামর্শ দিচ্ছি। কন্দাল ফসল হিসেবে ওলকচুর চাষ খানসামার কৃষিতে নতুন সম্ভবনাময় ফসল এবং আগামীতে এ ফসলের চাষাবাদ বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা করেন।

 

যাযাদি/ এস