মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

​বিরামপুরে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৭:৪৯

দিনাজপুরের বিরামপুরে আমন চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। উপজেলার উঁচু, নিচু, বিল ও শাখা যমুনা নদীর দু কূল এখন আমন ফসলের সবুজের সমারোহ। চাষিদের আগাম আলুচাষের লক্ষ্য নিয়ে জৈষ্ঠগাড়া ধানের ফসল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া খুব সহজেই ঘরে উঠেছে। বিগত বছরগুলোতে বর্ষা মৌসুমে অতি বর্ষণের ফলে উপজেলার শাখা যমুনার দু কূলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জৈষ্ঠগাড়া ও আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলেও চলতি মৌসুমে এ বিপদ থেকে অত্র উপজেলার চাষিরা ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে নিরাপদে রয়েছেন। চলতি আমন মৌসুমে বর্ষার কবলে দেশের নিম্নাঞ্চলসহ উজানের নদী ও বিল এলাকার অনেক ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট ও ফসলিজমি বন্যার জলে তলিয়ে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। সেই দিক থেকে দিনাজপুরের অন্যান্য উপজেলার ন্যায় বিরামপুরের আমন চাষিরা আমনের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন। অত্র এলাকায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উপজেলার চাষিদের গোলা ধানে ধানে ভরে উঠবে বলে চাষিরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

উপজেলার সীমান্তঘেঁষা দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আফিজ উদ্দিন, সায়েদ আলি, উত্তর দাউদপুর গ্রামের নমির হোসেন, আব্দুস সাদেক, পলিখিয়ার মামুদপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলাম, খিয়ার মামুদপুর গ্রামের আব্দুল জলিল, কসবাসাগরপুর গ্রামের মোসলেমসহ অনেকেই জানিয়েছেন, সীমান্তের ভারতীয় জামালপুর ও শ্রীরামপুর এলাকার মাঝ বরাবর নির্মিত স্লুইসগেটটি এখন বন্ধ নেই। তাই আবদ্ধ বন্যার জলে বিলের চাষিদের আমন ফসলের এ সময় পর্যন্ত কোনো ক্ষতি হয়নি। উপজেলার উজানের পাশাপাশি কয়েকটি বিলের ওপর দিয়ে বয়েচলা খাড়িনদী সরকারি উদ্যোগে খনন করায় বর্ষণের জলের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয়ে জল দ্রুত নিষ্কাশন হয়ে ভাটির দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিকছন চন্দ্র পাল জানান, বিরামপুরে ১৭ হাজার চারশ ১১ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৭ হাজার চারশ ৯৫ হেক্টরে উন্নীত হয়েছে। সময়মতো সাতশ ৩০ জন কৃষক সরকারি কৃষি প্রণোদনা সার ও বীজ পেয়েছেন। সেই সঙ্গে উপজেলার কৃষি অফিস থেকে ২০ জন কৃষককে প্রণোদনা প্রদর্শনীর সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। চলতি আমন মৌসুমে কৃষকরা তাদের জমিতে ব্রি-৩৪, ৪৯, ৫১, ৭০, ৭৫, ৮০, ৮৭, ৯০, স্বর্ণা-৫, স্বর্ণাসহ হাইব্রিড একাধিক জাতের চাষ হয়েছে।

তিনি আরও জানান, উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার উপ-সহকারী কৃষি অফিসারবৃন্দ মাঠপর্যায়ে কৃষকদের আমন ফসলের পরিচর্যা, পোকামাকড় দমনে পাচিং ব্যবস্থা করা ও কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শসহ এ বিষয়ে মুক্ত আলোচনা এবং কৃষকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমনের বাম্পার ফলন আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে