​৪ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ জামালগঞ্জে বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০২১, ২১:২১

জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

 

হেমন্তের খোলা আকাশ, দিগন্ত বিস্তৃত ধানের সবুজ ক্ষেত স্নিগ্ধ বাতাসে দোলকাচ্ছে। উপজেলার অনেক এলাকার মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ। ক’দিন পরেই সবুজ চারাগুলো হলুদ বর্ণ ধারণ করবে। এরপর সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ। কৃষাণীর শূন্য গোলা ভরে উঠবে রাশি রাশি সোনালী ধানে। এবারের মৌসুমে ৪ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছে উপজেলার আমন চাষীরা। অনুকূল আবহাওয়া, রোগাবালাই এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় সেই সম্ভাবনা যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। এ কথা বলেছেন উপজেলার বিভিন্ন কৃষকেরা।

 

উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের জাল্লাবাজ গ্রামের আবুল হাসেম জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাঠের পর মাঠ সবুজের সমারোহ যেন দোলকাচ্ছে। তার মতে, এ বছর বৃষ্টিপাতের হার কম থাকলেও কোন সমস্যা হয়নি। অন্যদিকে ফলনের পর ভালো দাম পাওয়ার ব্যাপারেও তারা আশাবাদী।

 

তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান যথেষ্ট ভালো হয়েছে। ফলে এবার ধানের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধান গাছে শিষ গজানো থেকে শুরু করে ধান পাকার আগ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে যেকোন সময়ের চেয়ে ভালো ফলন হবে। তারা এবার আমন মৌসুমের শুরুতেই বুকভরা আশা নিয়ে দিনভর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মাঠে কাজ করছেন।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষ্টি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, জামালগঞ্জে এবার ৪ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে আমন ধান চাষ করেছেন কৃষকেরা। এ বছর ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় ধান চাষে আগ্রহী হয়েছেন অনেক কৃষকগণ। আমন ধানের রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ের সকল কর্মকর্তা তৎপর রয়েছেন। আমাদের আশা আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমন ফসলের বাম্পার ফলন হবে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছি।

 

যাযাদি/ এস