বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাবুগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন আবাদ : ভালো ফলনের সম্ভাবনা

বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
  ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১৮:৫৩

বরিশাল জেলার মধ্যে বাবুগঞ্জ উপজেলায় আয়তনের তুলনায় এককভাবে বেশি আমন আবাদ হয়। চলতি বছরে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৯৫৫৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চূড়ান্ত আবাদ হয়েছে ৯৬০০ হেক্টর জমিতে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৫ হেক্টর বেশি জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। এ বছর উপজেলায় ২৪ হাজর ৭ শত মে. টনের বেশি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়লে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তারা। তবে অপরিকল্পিতভাবে ফসলি জমিতে ভবন তৈরি, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খোলা ও ফসলি জমি ক্রয় করে প্লট বানিয়ে বিক্রির ফলে ভবিষ্যতে চাষযোগ্য জমি কমে আশায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষি বিভাগ।

চাঁদপাশা ইউনিয়নের ঘটকেরচর গ্রামের কৃষক বাবুল হাওলাদার বলেন, ‘আমি ২০ শতক জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। সার, বীজ, কীটনাশক, ক্ষেত প্রস্তুত ও বিবিধ খরচ মিলিয়ে ২০ শতক জমিতে প্রায় ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ৯-১০ মণ ধান সংগ্রহ করতে পারব। বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ ধান ৯ শত থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। দুর্যোগের কবলে না পড়লে আশা করছি ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারব।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহ মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকদের মাত্রাতিরিক্ত সার, কীটনাশক প্রয়োগে নিষেধ ও সচেতন করছি। আলোক ফাঁদ তৈরি করে পোকামাকড় দমনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমনের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। আমাদের উপ-সহকারীরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আলোক ফাঁদ তৈরি করে ক্ষতিকর পোকা দমনে কাজ করছেন তারা। এবারে ধানের ফলন ভালো। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাবুগঞ্জ উপজেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে