ধর্মপাশায় বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০২১, ২০:০৭

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

 

 

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় হাওরে হাওরে বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে শুরু হবে বোরো ধান রোপণ মৌসুম। এবার যথাসময়ে হাওর থেকে পানি নামছে, সেই সঙ্গে আবহাওয়া ভালো রয়েছে এর বাইরে তেমন কোনো উদ্বিগ্ন নেই কৃষকের চোখে। তবে কৃষক একটু চিন্তিত ডিজিলের মূল্যবৃদ্ধিসহ কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণ নিয়ে।

 

বৃহস্পতিবার সকালে কাজিনা ও জালধরা হাওরে বীজতলা ঘুরতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক কৃষক বীজতলা তৈরির কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। কেউ পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ দিচ্ছেন, কেউ সেচ পানি দিচ্ছেন, কেউ জমির আইল কোটা বাঁধছেন, বীজতলা সমান করছেন, কেউ বীজ বপন করছেন। আর এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক।

 

সপ্তাহ খানেক ধরে বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়ছে। আরও ১০ /১২ দিন বীজতলা তৈরিতে সময় লাগবে। হাওর থেকে ধীরে ধীরে পানি নামে আর একটু একটু করে বীজতলা বপন শেষ করেন কৃষক।

 

সে সময় কথা হয় মধ্য মাটিকাটা গ্রামের কৃষক মোস্তাহিদ মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পাওয়ার টিলার মালিকরা চাষাবাদে মূল্য বৃদ্ধি করেছে। বিগত বছরে এক কেয়ার ৩০ শতক চারা জমি চাষ দিতে ১২ শ টাকা দিতে হয় পাওয়ার টিলার মালিকদের। এবার ১৫ শ টাকা করে নিচ্ছে তারা।

 

সে সময় আরও এক কৃষক উজান গাবী গ্রামের কৃষক সোনা মিয়া বলেন, স্থানীয় জাতের ধান থাকায় বাজার থেকে বিভিন্ন জাতের বীজ ধান কিনছেন কৃষক। আর বছরে বছরে সে বীজ ধানের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া সার, কীটনাশক সবকিছুর দামই এখন ঊর্ধ্বমুখী।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার ছোট বড় ৭৮টি হাওরে ৩১ হাজার  ৮ শত হেক্টরের বেশি জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ হবে। ধারাম , জয়দুনা কাজিনা, চন্দ সোনারতাল সহ সব কটি হাওরপারের কৃষান-কৃষানি এখন ব্যস্ত রয়েছেন। হাওর থেকে একটু একটু করে পানি নামছে আর কৃষক তাদের বীজতলা তৈরি করছেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বীজতলা তৈরির কাজ শেষ হবে আর একই সঙ্গে হাওরে হাওরে বোরো ধান রোপণ মৌসুম শুরু হবে।

 

উপজেলা সেলবরষ ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের কৃষক ও পাওয়ার টিলার মালিক শামীম মিয়া বলেন, কেরোসিনের দাম বাড়ার কারণে এবার জমি চাষাবাদ করতে গিয়ে একটু ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। আমরা বিগত সময়ে এক কেয়ার বীজতলা তৈরির জমি চাষাবাদ করতে ১২ শ টাকা নিয়েছি এবার ১৪ শ টাকা নিচ্ছি।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, এবার যথাসময়ে বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি রোপণ মৌসুমটাও যথাসময়ে শুরু হবে। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জমিতে হালচাষসহ সেচ পাম্প দিতে কৃষকের ব্যয়ভার কিছুটা বাড়বে।

 

যাযাদি/ এস