​ ছাতকে মাচায় ঝুলছে নানা রঙ্গের তরমুজ

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০২১, ২১:৪৭

অনলাইন ডেস্ক

 

ছাতকে চাষ হয়েছে গোল্ডেন ক্রাউন, ইয়োলো হানি, থাই সুইটসসহ পাঁচটি জাতের তরমুজ। ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের তাজপুর পয়েন্টের পাশে কিছু পতিত জমিতে বাঁশের মাচায় ঝুলছে এসব নানা রঙের তরমুজ। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আধুনিক পদ্ধতিতে এখানে তরমুজের চাষাবাদ করা হয়েছে। সুস্বাদু ও মিষ্টি জাতের ফল তরমুজের ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের তাজপুর পয়েন্টের পাশে এ বাগানটির অবস্থান। এলাকার পাঁচ তরুণ মিলেই এই সুস্বাদু ফলের বাগান করেছেন। উন্নত জাতের এসব তরমুজের চাষাবাদে খরচ হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গত সেপ্টম্বর মাসে জমিতে তরমুজের চারা রোপণ করা হয়েছে।  যখন গাছে ফুল থেকে তরমুজ ধরতে শুরু করে, ঠিক তখনই বাগানে বাঁশ দিয়ে গোল করে ৩ ফুট উঁচু মাচা তৈরি করে দেওয়া হয়। মাচার নিছে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের শাকসবজিও। তরমুজগুলোকে নেটের ব্যাগে ঢুকিয়ে মাচায় বেধে রাখা হয়েছে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী উদ্যোক্তারা নিয়মিতই বাগানের পরিচর্যা করছেন।

 

উদ্দোক্তা আব্দুর রহমান বলেন, তরমুজ গাছের বয়স প্রায় ৩ মাস। প্রতিদিন ৪ জন শ্রমিক এ বাগানে কাজ করেন। বর্তমানে তরমুজের ওজন দুই থেকে আড়াই কেজি। এ সপ্তাই তরমুজ বিক্রি শুরু করবো। এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

 

তরমুজ চাষের মূল উদ্যোক্তা আশরাফুর রহমান বলেন আমরা পাচজন মিলে চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে বীজ সংগ্রহ করেছি। তিনি আরো বলেন, অন্য অঞ্চলের থেকে কৃষিতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। পরীক্ষামূলকভাবে তরমুজের এ বাগান তৈরিতে কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা লাভবান হওয়ার আশাবাদী। আগামীতে আরও বড় আকারে বাগান করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

 

কালারুকা ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, সাধারণ তরমুজের চেয়ে এর স্বাদ অনেক ভালো, মিষ্টিও বেশি। মালচিং পদ্ধতিতে এই ফলটি চাষ করা হয়েছে। সাধারণত ৬০ দিনেই এ ফসল বাজারজাত করা যায়। এ ফলে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনযুক্ত একটি ফল। শতকরা ৯৫ ভাগ জলীয় অংশ থাকায় এটি মানব দেহের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খাঁন বলেন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনসমৃদ্ধ শতভাগ নিরাপদ ফল তরমুজ। কৃষি বিভাগের নিয়মিত পরামর্শ আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষমাত্রার চেয়ে ফলন বেশি হয়েছে। আগামীতে নতুনরাও আগ্রহী হবে।

 

যাযাদি/ এস