​ গুঁড়িয়ে দেওয়া অবৈধ ইটভাটা এলাকায় সরিষার ব্যাপক আবাদ

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:১১

তন্ময় মিত্র বাপী, কেশবপুর (যশোর)

 

 

কেশবপুরে কৃষকের দাবির মুখে গুঁড়িয়ে দেওয়া অবৈধ সুপার বিক্সস ইটভাটা এলাকার কৃষিজমিতে ব্যাপক সরিষার আবাদ হয়েছে। উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকায় কৃষিজমিতে অনুমোদন ছাড়াই ওই ইটভাটার কারণে ফসল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফল ধরা কম যায় বিভিন্ন গাছে। কৃষিজমিতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ও এলাকার পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ার কারণে কৃষকরা ফুঁসে ওঠেন। তারা ওই অবৈধ ইটভাটা বন্ধের জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান। কৃষকের দাবির মুখে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভাটাটির চিমনি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

ভাটাটি বন্ধের পর এলাকার কৃষকরা আগের মতো ওই এলাকার কৃষিজমিতে ফসল আবাদ শুরু করেন। চলতি বছর ওই এলাকায় ১৬ বিঘা জমিতে সরিষাসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ করা হয়েছে। কৃষকরা ভাটার ধোঁয়ার কারণে ফসল ফলাতে পারতেন না। সেখানে এবার সরিষার আবাদ করে কৃষকের মুখে ফিরেছে হাসি।

 

কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, ভাটার কারণে কৃষিজমিতে ফসল ফলাতে পারতাম না। তাছাড়া নারকেল গাছের ফলনও ঠিকমতো আসত না। এবার ৪ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদে বা¤পার ফলন এসেছে। কৃষক অসীম দত্ত বলেন, তার আড়াই বিঘা জমিতে সরিষার ফুল দেখতে এলাকার মানুষ ক্ষেতের আইলে ভিড় করেন।

 

এলাকার পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সদস্য শেখ সাইফুল্লাহ বলেন, গত বছর ঢাকার পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে সাতবাড়িয়া সড়কের পাশে ফারুকুল ইসলামের অবৈধ সুপার বিক্সস ইটভাটাটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই কৃষকরা তাদের কৃষিজমিতে ফসল ফলাতে শুরু করেন। বর্তমানে ওই এলাকার কৃষিজমিতে সরিষা, বেগুন, শিম, পটোল ও ভুট্টার আবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ফলদ বৃক্ষেও ধরেছে ফল।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, যেখানে ইটভাটা থাকে ওই এলাকার কৃষিজমিতে ফসলাদি অনেক কমে যায়। অন্য কৃষিজমি থেকে মাটির উপরিভাগ (টপ সয়েল) কেটে আনার কারণে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়। তাছাড়া এলাকায় ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে। ওই ইটভাটাটি বন্ধ হওয়ার পর সেখানকার কৃষিজমিতে ফসলের ব্যাপক আবাদ হয়েছে।

 

যাযাদি/এস