এবারের বৈশাখের প্রথম সপ্তাহেই আকষ্মিক ভাবে নদীর পানি বেড়ে গিয়ে ডুবে গেছে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের কাঁচা ও আধা পাকা ধান ক্ষেত। এতে হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন কৃষকদের অধিকাংশ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষক ও বর্গা চাষীরা। তাই এবারের বৈশাখ কে কাল্ বৈশাখ হিসেবে গন্য করেছেন কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের কৃষকেরা।
পূর্বকান্দী, রাধানগর, কালাপাহাড়িয়া ও উলুকান্দীসহ এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ইউনিয়নের প্রায় ৯০শতাংশ কাঁচা ধান ক্ষেত উত্তর বঙ্গ থেকে আসা উজানের পানিতে তলিয়ে গেছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন পূর্বকান্দী গ্রামের কৃষক মোঃ জিয়াউর রহমান প্রধান ও বর্গাচাষি মোঃ হান্নান। রাধানগর গ্রামের কৃষক আব্বাছ বলেন, এ বছরের বৈশাখে হঠাৎ করে মাত্রাতিরিক্ত পানি বেড়ে গিয়ে ধান ক্ষেতের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে আগামী দুই বছরেও এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো কিনা সন্দেহ। সরকার যদি আমাদের দিকে না তাকায় তাহলে কৃষি জমি বিক্রি করে আমাদের দেনা শোধ করতে হবে। এমন হাজারো কৃষকের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন।
এ ব্যাপারে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তা স ম বাশারুল করিম কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি ঘটনার বিষয়ে শুনে আমার উপরস্থ কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তবে আমি নিজে সেখানে যাইনি।
কথা বলার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান ফারুকী কে বার বার মুঠো ফোনে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
যাযাদি/এস