ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মতো “ল্যান্ড ফাই” জাতের তরমুজের চাষাবাদ হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১৭ হেক্টর জমিতে এর চাষাবাদ হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা, কসবা উপজেলা, নবীনগর উপজেলা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, নাসিরনগর উপজেলা ও আখাউড়া উপজেলায় এই তরমুজের চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে ১ হেক্টর জমিতে ল্যান্ডফাই তরমুজ চাষ করা হয়েছে।

ইন্দুরকানাীতে বাঙ্গির বাম্পার ফলন দামে খুশি চাষীরা

ইতিমধ্যেই এই তরমুজ বাজারজাত শুরু হয়েছে। প্রথম বছরই বিশেষ জাতের এই ল্যান্ডফাই তরমুজ ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। ভেতরে হলুদ রঙের এই তরমুজ অন্যান্য তরমুজের চেয়ে মিষ্টি একটু বেশী। ফলে ক্রেতাদের কাছে এই তরমুজ সমাদৃত হচ্ছে।

সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের কৃষক প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে তার ১ বিঘা জমিতে “ল্যান্ড ফাই” তরমুজ চাষ করেছেন। খলিল মিয়া বলেন, গত বছর তিনি পরীক্ষামূলকভাবে তার জমিতে ল্যান্ডফাই জাতের তরমুজ চাষ করেছিলেন। ভালো ফলন ও তরমুজ বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় এ বছর তিনি বাণিজ্যিকভাবে তার ১ বিঘা জমিতে “ল্যান্ড ফাই” জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিক্রি শুরু করেছি। ইনশ্লাল্লাহ তরমুজ বিক্রি করে লাভবান হবো। তিনি বলেন, ল্যান্ডফাই জাতের তরমুজের বিশেষ গুন হচ্ছে বাজারের অন্যান্য তরমুজের থেকে এই তরমুজ অনেক মিষ্টি ও সু-স্বাদু। তিনি বলেন, প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা এসে জমি থেকে তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

খলিল মিয়ার তরমুজের জমির পরিচর্যাকারী হুমায়ূন মিয়া বলেন, এই তরমুজ চাষে তেমন ঝামেলা নেই। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করা ছাড়া তেমন কোন পরিচর্যা করতে হয় না। তবে জমিতে জলাবদ্ধতা হলে তরমুজের ফলন ভালো হবেনা। তিনি বলেন, আমাদের ফলন ভালো হয়েছে।

একই এলাকার কৃষক সালাম মিয়া বলেন, খলিল মিয়ার তরমুজের জমি থেকে তরমুজ কিনতে প্রতিদিন স্থান থেকে লোকজন আসছে। আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী বছর থেকে আমার জমিতে তরমুজের চষ করবো।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মনোয়ার আহমেদ বলেন, আমরা তরমুজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য কারিগরী সহযোগীতা সহ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন দেই।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে ১০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে ল্যান্ডফাই জাতের তরমুজের চাষ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার বলেন, এ বছর তরমুজের মাঠের অবস্থা ভালো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর গড়ে প্রতি হেক্টর জমিতে ১৪ টন তরমুজ পাওয়া বলে আশা করছি। এতে কৃষকরা লাভবান হবেন।

যাযাদি/এস