"লালন মরে জল পিপাসায় রে/কাছে থাকতে নদী মেঘনা....।" এমনটিই হয়েছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার যমুনা পাড়ের কৃষকদের। যমুনা নদীতে ভরা জল তবু প্রয়োজনীয় জল নেই।
উপজেলার যমুনা নদীর পূর্ব তীরবর্তী বিভিন্ন গ্রাম বামনহাটা, তেঘরী,সরই,রায়ের বাশালিয়া,কুতুবপুর, গোপিনাথপুর,রামপুরসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামে পাট পঁচানো পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
কৃষকদের পাট পঁচানোর জলের অভাবে ক্ষেতের পাট কাটতে পারছে না কৃষক। যারা কেটেছে তারাও পাট ফেলে পাট পঁচানোর জায়গা খুঁজে বেড়াচ্ছে। খাল, বিল ও ডোবা না থাকায় এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় কৃষক আব্দুল মান্নান। তেঘরী গ্রামের আব্দুল কদ্দুছ জানান, ডোবা-নালা,আগার-পাগার না থাকায় পাট জাগ দেওয়ার জাগা নাই। বামনহাটা গ্রামের কৃষক নূর হোসেন বলেন, পাট কাইটা এহন বেকায়দায় আছি। জাক দিবার জাগা নাই। খেতে থাকলিও মইরা যায়,কাটলিও জাগ দিবার জাগা পাই না। চর গাবসারা গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন, পাট জাগ দেওয়ার জন্যে ২ মাইল দূরে নিয়ে কিছু কিছ ুপাট জাগ দেওয়া যায় কিন্ত খরচ বেশি পড়ে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. হুমায়ন কবির বলেন, ভূঞাপুরে পাট চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পাট পঁচানোর জন্য যথেষ্ট ডোবা,নালা বা খাল না থাকায় কৃষকরা পাট চাষে নিরুসাহিত হচ্ছে।
যাযাদি/এস
ভূঞাপুরে পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছে না পাট চাষিরা-যাযাদি