চিতলমারীতে অক্সিজেন ঘাটতির কারণে চিংড়ি ঘেরে মড়ক
প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২২, ১৭:২৮
চিত্রাচরের মিনিসুন্দরবন ও তার আশপাশের এলাকায় সাদাসোনা খ্যাত চিংড়িচাষে অন্যতম বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চাষিরা এখন চরম হতাশায় ভুগছেন। অনাবৃষ্টি ও অধিক তাপমাত্রার কারণে এলাকার অধিকাংশ চিংড়িঘেরে অক্সিজেন ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে ঘেরের চিংড়িসহ অন্যান্য মাছ মারা যাওয়ায় চাষিদের মধ্যে ।
এলাকার চিংড়ি চাষিদের সাথে কথাবলে জানা গেছে, এ বছর বর্ষা মৌসুমে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া ও যথেষ্ট পরিমাণ বৃষ্টি না হওয়ার কারণে অধিকাংশ ঘেরে পানি কম থাকার কারণে অক্সিজেন ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে ঘেরের চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ ভেসে কূলের কাছে এসে ছটপট করে মারা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য নানা প্রকার মেডিসিন ও বাইরে থেকে ঘেরে পানি সেচ দিচ্ছেন অনেকে। এতেও সুফল মিলছে না অনেকের। ফলে এ অবস্থা চলতে থাকলে চিংড়ি চাষে বিপুল লোকসানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন চাষিরা।
উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের চিংড়িচাষি যোগেন গাইন, ডুমুরিয়া গ্রামের বৈষ্ণব রায়, অনাদি মণ্ডল, পাড়ডুমুরিয়া গ্রামের শিবানী ভক্তসহ অনেকে হতাশা ব্যক্ত করে জানান, এমন বৈরি আবহাওয়া চিংড়ি চাষের জন্য খুবই প্রতিকূল অবহাওয়া। ভরাবর্ষা কালে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ঘেরে জল নেই। রোদের তাপে একদিকে ঘেরের জল প্রচণ্ড গরম হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে সামন্য বৃষ্টি হলেই দেখা দিচ্ছে অক্সিজেন ঘাটতি। ফলে এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লা জানান, বৈরি অবহাওয়ার কারণে চিংড়ি ঘেরে অক্সিজেন ঘাটতি দেখা দিতে পারে এমন বিষয় মাথায় রেখে কয়েকদিন আগে এলাকায় চাষিদের সচেতন করতে মাইকিং করা হয়েছে। এর প্রতিকারের জন্য। ঘেরে অক্সিজেন ট্যাবলয়েট প্রয়োগসহ পানি সেচ দিতে বলা হয়েছে।
যাযাদি/এস