মদনে পাট চাষীদের প্রায় ৭৩ লাখ টাকার ক্ষতি
প্রকাশ | ০৩ আগস্ট ২০২২, ১৭:৩১
মদনে পাট চাষে অতি বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে ৭৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। লাভবান হওয়াতো দূরের কথা চাষের খরচও উঠবে না অনেক কৃষকের। ফলে কৃষকদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। গত বছর পাটের ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে পাট চাষে আগ্রহ জন্মেছিল কৃষকদের।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার বৈশাখ- জৈষ্ঠ্য মাসে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় জমিতে পানি জমে যায়। দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে রোপনকৃত বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। আবার অনেক কৃষকের জমির পাট ১/২ ফুটের বেশি বড় হয় নি। কেউ কেউ একাধিকবার পাট বীজ রোপন করলেও পানির নীচে সেসব নষ্ট হয়ে গেছে। এদিকে গত বছর পাটের ভালো দাম পেলেও এ বছর আশানুরুপ দাম পাচ্ছে না তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর এ উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন হয়েছিল ৯৩০ হেক্টর। তার মধ্য ৯৩৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করাহয়। কিন্তু অতি বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে ৬৫ হেক্টর জমির পাট নষ্ট হয়। এতে ক্ষতি গ্রস্থ হয় ৮শ কৃষক। যার টাকার পরিমান ৭৩ লক্ষ টাকা।
উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, আমি ৫০ বিঘা জমিতে পাট চাষ করে ছিলাম। এক বিঘা জমির পাটও ঘরে তোলতে পারি নাই। পানিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে।
চানগাও ইউনিয়নের কফিল উদ্দিন, সাইরুল, সাইদুল ও রিপন মিয়া জানান আগাম বন্যার কারণে পাট চাষ করে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। যে টাকা খরচ হয়েছে সে টাকা আমাদের উঠবে না
নায়েকপুর ইউনিয়নের তালুক খানাই গ্রামের কৃষক সোহাগ মিয়া জানান, আমি ১৬০ শতাংশ জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। বৃষ্টির পানিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, এ বছর নির্ধারিত লক্ষ মাত্রার থেকে ৫ হেক্টর বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে ৮শ কৃষকের ৬৫ হেক্টর জমির পাট নষ্ট হয়ে গেছে। যা প্রায় ৭৩ লক্ষ টাকা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার একে এম লুৎফুর রহমান বলেন ক্ষতিগ্রস্ত পাট চাষীদের তালিকা তৈরীর জন্য কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যাযাদি/এস